চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

২২ দিন ইলিশ শিকার বন্ধ

বেকার ৫ হাজার মৎস্যজীবী

সীতাকু- আসেনি এখনো সরকারি সহায়তা

সৌমিত্র চক্রবর্তী, সীতাকু-

১৬ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশের মত সীতাকু-েও ২২ দিন ইলিশ শিকার বন্ধের কারণে বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ৫ হাজার মৎস্যজীবি। কিন্তু বন্ধকালীন সময়ের জন্য সরকার প্রতিবছর যে চাউল বা অন্যান্য সহায়তা প্রদান করেন তা এবার এখনো আসেনি। এছাড়া জেলেদের জন্য গড়ে তোলা হয়নি বিকল্প কর্মসংস্থানও। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

উপজেলার বিভিন্ন জেলে নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, ইলিশের চলতি মৌসুমে বঙ্গোপসাগরের সীতাকু–সন্দ্বীপ চ্যানেলে অল্প কিছুদিন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও জেলেরা মাছের আশানুরুপ দাম পাননি। ফলে বেশি মাছ ধরলেও আয় বাড়েনি তেমন। এর মধ্যে সরকার দুই দফা লম্বা সময় ইলিশ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। সর্বশেষ গত ৯ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এতে বর্তমানে বেকার সময় কাটাচ্ছেন উপজেলার প্রায় ৫ হাজার মৎস্যজীবী। এর প্রভাব পড়েছে তাদের পরিবারের উপরও।

সরেজমিনে পরিদর্শনকালে বাঁশবাড়িয়া বোয়ালিয়াকুল জেলেপাড়ার বাসিন্দা ও উত্তর চট্টলা উপকূলীয় জেলে কল্যাণ পরিষদের সভাপতি লিটন কুমার জলদাশ ও সহ-সভাপতি উপেন্দ্র লাল জলদাশ বলেন, আমাদের প্রায় ৫ হাজার জেলে আছে সীতাকু-ে। সবার প্রধান উপার্জনের উৎসই হলো মৎস্য শিকার। বন্ধকালীন সময়ে সরকার মাঝে মধ্যে কিছু অনুদান দেয়, কিন্তু তা কোনভাবেই যথেষ্ট নয়। তারা বলেন, এই যে এখন ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর ২২দিন ইলিশ শিকার বন্ধ ঘোষণা করেছে বলে আমরা সাগরে মাছ ধরতে পারছি না। এতে আমাদের অর্থকষ্ট শুরু হয়েছে।

বন্ধকালীন সময়ে প্রতি পরিবারের জন্য ২০ কেজি করে চাউল দেওয়ার কথাও তাও এখনো আসেনি। কুমিরা জেলে পাড়ার বাসিন্দা সুজিত জলদাশ বলেন, সরকার আমাদের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ না দিলে বৌ-বাচ্চা, বৃদ্ধ মা-বাবা নিয়ে চরম কস্টে পড়তে হবে। তাই মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে এ বিষয়গুলো মাথায় রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

এদিকে সীতাকু- উপজেলা মৎস্য অফিসার শামীম আহমেদ। তিনি বলেন, সরকার সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখায় ইলিশ মাছ অনেক বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে সরকার ভুর্তকি দিয়ে থাকেন। এখানে প্রায় ৫ হাজার মৎস্যজীবির প্রতি পরিবারকে ২০ কেজি করে চাউল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এই চাউল দ্রুত জেলেদের কাছে পৌঁছে যাবে বলে জানান তিনি। তাই কেউ যেন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাগরে না যান সে বিষয়ে সতর্ক করেন তিনি।

সীতাকু- উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, মাছ ধরা বন্ধের জন্য জেলেদের যে চাউল দেওয়ার কথা তা এখনো আসেনি। আমাদের হাতে এসে পৌঁছালে তাদেরকে পৌঁছে দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট