চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

কর্মশালায় ড. হোসেন জিল্লুর রহমান

তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সঠিক তথ্য জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ অক্টোবর, ২০১৯ | ৩:৩২ পূর্বাহ্ণ

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সঠিক, মানসম্পন্ন, সত্য ও সমৃদ্ধ তথ্য থাকা জরুরি। সঠিক তথ্যের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়। এরমাধ্যমে শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করাও সম্ভব হবে। চট্টগ্রাম থেকে এই ডাটা শুরু করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল সোমবার বিকেলে নগরীর পাঁচলাইশে পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন রিচার্স সেন্টারের (পিপিআরসি) উদ্যোগে আয়োজিত ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ার প্রগ্রেস মনিটরিং ইন্ডিকেটর (ইউএইচসি) শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

পিপিআরসি’র নির্বাহী পরিচালক ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাস্থ্যখাতে সমস্যা ও করণীয় নির্ধারণের উপর বক্তব্য দেন ইউএসটিসি’র সাবেক উপাচার্য ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়–য়া, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. তাহমিনা বানু, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. জাফরুল হান্নান প্রমুখ।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান আরো বলেন, ‘সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা ও জেলায় সরকার ও বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তথ্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের চিত্র নিয়ে সমস্যা চিহিৃত করা প্রয়োজন। চিকিৎসক, রোগী ও স্বজনদের আচার-আচরণ নিয়ে তথ্য থাকা দরকার। সেবার সময় এবং চিকিৎসা সেবার ব্যয় নিয়ে সঠিক তথ্য থাকার দরকার। গ্রাম থেকে আসা একজন রোগী ও স্বজনদের মেডিকেল ও নন-মেডিকেল ব্যয়ের বিষয়ে সঠিক তথ্য থাকা ভালো। এতে সিস্টেম গ্যাপ কমানো যায়। এসব তথ্যের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত প্রণয়ন সহজ হয়। তিনি বলেন, আরবান স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নতি করা গেলে সরকারি মেডিকেলের উপর চাপ কমবে। প্রাইমারি চিকিৎসার জন্যও মানুষ এখন সরকারি মেডিকেলে ছুটে যাচ্ছে। আরবান হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হলে বড় হাসপাতালে চাপ অনেকটা কমে আসবে। এজন্য আরবান হাসপাতালে কর্মরতদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও রোগী উভয় পক্ষকেই সতর্ক এবং পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও আস্থাশীল হতে হবে। কারণ রোগী-চিকিৎসক একজন অপরজনের পরিপূরক।

সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল হক সিদ্দিকী বলেন, প্রত্যেক মানুষের মানসম্পন্ন সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। চিকিৎসাসেবার মান আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। তবে সীমাবদ্ধতার কারণে শতভাগ সেবা নিশ্চিত করতে পারছি না আমরা। তাই উচ্চবিত্তরা নামীদামি বেসরকারি হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছে। মধ্যবিত্তরা মধ্যমানের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছে। নি¤œবিত্তদের ভরসা সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকায় স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে তা প্রয়োগ করা সহজ হতো। মাঠ পর্যায়েও কোন ডাটা নেই। ডাটা তৈরি ও তা প্রয়োগ করা হলে স্বাস্থ্যখাতে উন্নতি সাধিত হবে।
কর্মশালায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি সেবা সংস্থাসমূহের নানা সমস্যা ও সংকট রয়েছে। এসব সমস্যা চিহিৃত করেই কাজ করতে হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট