চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সরকারি দুই পদে দেড়যুগ ধরে চাকরি, সেই প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:৫৮ অপরাহ্ণ

তিনি একাধারে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আবার ইউনিয়ন পরিষদের সচিবও। অথচ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একই ব্যক্তি দুই জায়গায় চাকরি করতে পারেন না। তবে সরকারি এই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি গত দেড় যুগ ধরে চট্টগ্রামের দুই উপজেলায় এমন অনিয়ম করেছেন।

অবশেষে আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সেই প্রধান শিক্ষককে।

রফিকুল ইসলাম আনোয়ারা উপজেলার চুন্নাপাড়ার আব্দুল সাত্তারের ছেলে।

এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায়  দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেন। দুদক ২-’র উপ সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রফিকুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেড় যুগ ধরে সরকারি দুই পদে (ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক) কর্মরত ছিলেন। তিনি ইউনিয়য়ন পরিষদের সচিব পদে কর্মরত দেখিয়ে অবৈধভাবে বেতনভাতা বাবদ প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। যেটি ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  

তিনি আরো বলেন, রফিকুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি, মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ও আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া ইউপিসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে সচিব হিসেবে অবৈধভাবে কর্মরত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মো. রফিকুল ইসলাম ২০০০ সালের ২৯ অক্টোবর লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নে সচিব হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের দশ মাস পর তথা ২০০১ সালের ২৯ আগস্ট তিনি সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আনোয়ারা উপজেলার সরস্বতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই স্কুলে দুই বছর চাকরি করার পর তিনি ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। কিন্তু এর একমাস আগে তথা একই বছরের ২৩ জানুয়ারিতে আনোয়ারা উপজেলার দক্ষিণ জুইদণ্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তীতে একই উপজেলার উত্তর বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে বদলি হয়ে বর্তমানেও সেখানে তিনি কর্মরত রয়েছেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট