২০০৩ সালে ইউপি নির্বাচনের পর বিএনপি ক্ষমতায়, ভোটাধিকার হরণ করে চেয়ারম্যানও বিএনপি’র হলো। কই-তিনিতো ওই সময় এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখেননি। পরে সীমানা জটিলতার মামলার জালে তিনি কধুরখীলকে দুঃশাসনের রাজত্ব বানিয়েছেন। নির্বাচনে এসেছেন প্রবাসী এক প্রার্থী মোটর সাইকেল নিয়ে, এটা নাকি তাঁর পরিবারের দীর্ঘ দিনের শখ। এরা শখ পূরণ করতে গিয়ে কধুরখীলকে আরও পিছিয়ে রাখতে চায়। এদের দিয়ে অবহেলিত কধুরখীলকে পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নাই। যারা আপনাদের ১৭ বছর বঞ্চিত করেছে তাদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রায় দেন। তিনি দাবি করে বলেন, এ কধুরখীলেই আমার জন্ম। আমার হক আছে এখানে। আমি আপনাদের সন্তান। অতীতের চেয়ারম্যান ভিন্নমতের কারণে আমি ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কাংখিত উন্নয়ন করতে পারিনি। এবার আমার প্রতিনিধিত্বকারী শফিউল আজম শেফুকে নৌকায় ভোট দেন, আমি শেখ হাসিনাকে প্রয়োজনে হাতে পায়ে ধরে ১৭ বছরের বঞ্চনা দুই-এক বছরেই মিটিয়ে দেব। গতকাল শনিবার বিকেলে বোয়ালখালীর ১নং কধুরখীল ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে ইউনিয়নের ৭টি পথসভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন দক্ষিণ জেলা আ. লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ। গতকাল ছিল নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার শেষ দিন।
ইউনিয়নের বুড্ডুম ফকিরের মাজার থেকে শুরু হয়ে পূর্ব কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয়, বেপাড়ি পাড়া-গাগ্গুলা তল, নাজির দিঘীর পাড়, খোকার দোকান, নাপিতের ঘাটা, লালার দিঘীর পাড় হয়ে বেপাড়ি পুকুর পাড় বাইচিয়া মাদ্রাসায় এসে এ পথসভা শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম রাজা, দ. জেলা আ. লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন মো. এমরান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এস এম সেলিম, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন মিয়া, চেয়ারম্যান এস এম জসিম উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম, মো. শফিক, শফিকুল আলম শফি, মনছুর আলম পাপ্পী, আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী, অধ্যাপক পার্থ সারথী চৌধুরী, জহুরুল ইসলাম, দিদারুল আলম দিদার, রাজীব চক্রবর্তী ও আবু কাউছার, মো. জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল আবছার, মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম সওদাগর, আবদুল মান্নান, মিজানুর রহমান, সাইদুল আলম, দ. জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বোরহান উদ্দিন, আবদুল মোনাফ প্রমুখ।