চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্মেলনে মেনন

ছাত্র রাজনীতি নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:৩০ পূর্বাহ্ণ

‘ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মৌলবাদীরা সুযোগ নেবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। তার মানে এই নয় যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে’। গতকাল শুক্রবার নগরীর জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির ১২তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমি, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাই ছাত্র রাজনীতি করেছেন। মাথাব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলতে হবে, এটা মানতে আমি রাজি নই। যখনই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে তখনই মৌলবাদীরা সুযোগ নেবে। অতীতে এটাই হয়েছে’। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মৌলবাদী শক্তির উত্থান নিয়ে সতর্ক করে রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত যখন জোট বেঁধে ক্ষমতা নিল এরপর

থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজ চলে গেল শিবিরের দখলে। তখন বহু কথা বলেছি, আমাদের কথা শোনা হয় নাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ পরিস্থিতি একদিনের নয়’। দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘দুই শতাংশ মানুষের হাতে দেশের সব ব্যবসা, ব্যাংক-বীমা, টিভি, এমনকি স্যাটেলাইটের মালিকানাও তাদের লাগে। ক্ষমতার শীর্ষে থেকে অল্প কিছু লোক সবকিছু করতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর চারপাশে বড় বড় পোকা। রূপপুরসহ বড় সব প্রকল্পে খরচ বাড়ছে। এসব টাকা কোথায় যাচ্ছে? দুর্নীতিবাজদের কাছে যাচ্ছে। দেশে দুর্নীতি কি কেবল জুয়া আর ক্যাসিনো? প্রশাসনের নাকের ডগায় মতিঝিল থানার কয়েকশ গজের মধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্যাসিনো কী করে এতদিন চলেছে? সেই ক্যাসিনো তুলতে গিয়ে আমাদের গায়েও কালি ছেটানোর চেষ্টা হয়েছে’।

দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘অথচ বড় বড় প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। তাদের মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অন্য দেশে ‘সেকেন্ড হোম’ হয়েছে। তাদের নামগুলো আনেন না কেন? দেখবেন কাদের নাম আসে। চাটার দল চেটে নিচ্ছে কৃষক শ্রমিক বাস্তুহারার সম্পদ। মাদক দিয়ে দেশটা ধ্বংস করে দিচ্ছে। এদেশে উপরতলার মিথ্যার রাজনীতি আর নিচতলার সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে’।

ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সা. সম্পাদক শরীফ চৌহানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি আবু হানিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সা. সম্পাদক আমিরুল হক আমিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সা. সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সা. সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, যুব মৈত্রীর সভাপতি কায়সার আলম, ছাত্রমৈত্রীর সা. সম্পাদক এস এম আলাউদ্দিন।

উদ্বোধনী অধিবেশনে সম্মাননা জানানো হয় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, শিল্পী আলোকময় তলাপত্র এবং আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসানকে।
উদ্বোধনী অধিবেশনের পর কৃষক, পাটকল শ্রমিক, হোটেল শ্রমিক, গার্মেন্টস শ্রমিক, ছাত্র মৈত্রী ও যুব মৈত্রী এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্যদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট