চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সিটি মেয়রের সাথে প্রতিনিধিদ্বয়ের সাক্ষাত

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চায়না পাওয়ার কোম্পানির আগ্রহ

১১ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:১৩ পূর্বাহ্ণ

সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে চায়না পাওয়ার কোম্পানির দুই সদস্যের প্রতিনিধি সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে টাইগারপাস সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে এই সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতকালে চায়না পাওয়ার কোম্পানির ম্যানেজার মি. হ্যানকুন পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কার্যক্রম সম্পর্কে তুলে ধরেন। এই কোম্পানির চট্টগ্রামে বাঁশখালী, চট্টগ্রামের বাইরে গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলমান বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো সম্পর্কে সিটি মেয়রকে ধারণা দেন মি. হ্যানকুন। এই প্রসঙ্গে তিনি নগরীর বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি থেকে উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করে সিটি মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রতিনিধিদলের নেতা হ্যানকুন বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ্ ও জ্বালানি উৎপাদনে চসিক থেকে ১০ একর জায়গা ও প্রতিদিন ১৫ শত মেট্রিক টন বর্জ্য কামনা করেন। এই বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই প্রকল্পের জন্য তারা ১৮০ মিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। চায়না পাওয়ার কোম্পানির প্রস্তাব সময়োপযোগী উল্লেখ করে সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন দ্রুত সময়ের মধ্যে চায়না পাওয়ার কোম্পানিকে চূড়ান্ত

প্রস্তাব প্রদানের আহ্বান জানান। এই প্রস্তাবের পর সুবিধাজনক সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে বৈঠকে মেয়র জানান।

এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র নগরীর হালিশহর আনন্দবাজার এলাকায় চসিকের বর্জ্য ডাম্পিং-এর ১৪ একর জায়গার কথা উল্লেখ করে বলেন, এখানেই এই প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব । তাই প্রতিনিধিদলকে জায়গা ও বর্জ্য প্রদানে আশ্বস্ত করেন মেয়র।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী , প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিম আকতার চৌধুরী, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম প্রমুখ।

সিটি মেয়র বলেন, পরিবেশসম্মত নগরী গড়তে চায় চসিক। কিন্তু দিনে দিনে ভাগাড়ে জমছে বর্জ্যের পাহাড়। এখনই আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় না গেলে সংকট আরও বাড়বে। প্রতিদিন এই নগরীতে গৃহস্থালি বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২৫০০ মেট্রিক টন। কোনো ধরনের শোধন ছাড়াই দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে বাড়ছে বর্জ্যের স্তূপ। এতে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে নগরীর ভেতরেও। তবে পুরো প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন হলে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট