চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

জৈবসার তৈরি করে লাভবান রাজীব

চন্দনাইশ শুক্রবারের প্রতিবেদন

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ

১১ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:১১ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশ পৌরসভা সদরে ডেইরি ফার্মের বর্জ্য ও গোবর দিয়ে ফার্মের পাশে জৈবসার তৈরি করে নিজের জমিতে ব্যবহারের পাশপাশি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে খামারি রাজীব দেব নাথ।

মাত্র ১ বিঘা জমিতে রবি শস্যের আবাদ করে শুরু থেকে জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে আসছিলেন রাজীব। কিন্তু পাঁচ বছর আগে একটি এনজিও তাদের জৈবসার তৈরির পরামর্শ দেয়। এরপর থেকে রাজীব তার ডেইরি ফার্মের পাশে গর্ত করে জৈবসার তৈরি করা শুরু করে। এ সার দিয়েই তার জমিতে চাষাবাদ করে পাচ্ছেন বিষমুক্ত ফসল। সেইসাথে অতিরিক্ত সার বিক্রি করে মিলছে নগদ টাকা। একই এলাকার বাসিন্দা রফিক জানান, আগে বছরের পর বছর জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে নানা ফসল উৎপাদনসহ নানা রকমের সমস্যায় পড়তেন তারা। এতে ফসলের উৎপাদন খরচ হতো বেশি। পাঁচ বছর আগে জৈবসার দিয়ে জমিতে চাষাবাদ শুরু হয় এ গ্রামে। এতে সাফল্য পেতে শুরু করেন তারা। একে অন্যের দেখাদেখি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে জৈবসার ব্যবহার করে চাষাবাদ পদ্ধতি। রাজীব কিছুদিন আগে বিনামূল্যে জৈবসার তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। এরপর শুরু করেন জৈবসার তৈরি। প্রথমে লালশাক, টমেটো, বাঁধাকপি ও মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেতে জৈবসার প্রয়োগ করেন। তাতে ফলনও ভালো হয়েছে। পরবর্তীতে ধানি জমিতেও জৈবসার ব্যবহার করে লাভবান হয়েছে বলে জানান রাজীব। তার দেখাদেখি এখন চন্দনাইশে অনেক জায়গায় নিজেরা জৈবসার তৈরি করে চাষাবাদে ব্যবহার করার পাশাপাশি রাজীবের কাছ থেকেও কিনে নিচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন, রাসায়নিক সারের বদলে জৈবসার সবজি চাষে ব্যবহারে চন্দনাইশের কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন। একইভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক নিজের তৈরি সার ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছেন। ন্যায্যমূল্যে জৈবসার কিনে কৃষকেরা তাদের জমিতে জৈবসার ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা বলেন, বর্তমানে কৃষকেরা খুবই সচেতন। সেইসাথে কৃষকদের প্রশিক্ষিত করতে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকেরা তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গরুর গোবর ও বর্জ্য দিয়ে জৈবসার তৈরি করে ফসলের মাঠে ব্যবহার করছে। এতে সবজি ও ধানের উৎপাদন বেড়েছে, কমেছে খরচ। তাছাড়া বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকেরা জৈবসার ব্যবহার করছে। পাশাপাশি জৈবসার বিক্রি করে অনেকে অর্থ উপার্জন করছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট