চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ির প্রস্তুতিকালে ১১ রোহিঙ্গা উদ্ধার

টেকনাফ

নিজস্ব সংবাদদাতা হ টেকনাফ

১০ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:২০ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফ থেকে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ১১ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৪ জন নারী।

তাদের মধ্যে কেউ চাকরির জন্য আবার অনেকে বিয়ের প্রলোভনে পড়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া ঝুমপাড়া সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ থেকে গভীর রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ‘মঙ্গলবার ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে বাহারছড়া এলাকা দিয়ে কিছু রোহিঙ্গা সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য জড়ো হওয়ার সংবাদ পেয়ে সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে স্থানীয় চৌকিদার ও জনসাধারণের সহায়তায় পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ৪ নারীসহ ১১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। আটককৃত

রোহিঙ্গারা হলেন উখিয়া উপজেলার ১৮নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কে ব্লকের ২০৫৬১৮ নং ঘরের বাসিন্দা আব্দুল ফয়েজের পুত্র মো. রাফিউল কাদের (২১), এল-ব্লক-১৮ এর ২৭২২৯১ নং ঘরের বাসিন্দা আব্দুর রফিকের পুত্র মো. ইলিয়াস ওরফে রিয়াজ (১৬), ক্যাম্প-৪ এর ব্লক-সি-২৮ এর ২৭০৮৫৬ নং ঘরের বাসিন্দা ইমাম হোসেনের পুত্র মো. আইয়ুব (১৮), ১৩নং ক্যাম্পের ব্লক-সি-২৭ এর বাসিন্দা নুর হোসেনের পুত্র আমির হাকিম (১৩), ক্যাম্প-৪ এর ব্লক-সি-২৮ এর বাসিন্দা ওবাইদুল হকের পুত্র মো. ইলিয়াস (২০), ক্যাম্প-১৩ এর ব্লক-সি-২৭ এর ২১১৭৭৬নং ঘরের বাসিন্দা মো. হারুনের পুত্র ইব্রাহিম (১৭), ক্যাম্প-১৩ এর ব্লক-সি-২৭ এর বাসিন্দা মো. নুরের পুত্র জানে আলম (৮), ২৭নং ক্যাম্পের জুবাইর মাঝির অধীনে ২৭৫২৪০নং ঘরের নজির আহমদের মেয়ে আরেছা বিবি (২১), জামতলী ক্যাম্পে মৌলভী আবুল বশরের ঘরে অবস্থানকারী মো. কবিরের মেয়ে তসলিমা (১৫), ১৮নং ক্যাম্পের ব্লক-কে-৮ এর ১৯৩২৩০ নং ঘরের বাসিন্দা আলী জোহারের মেয়ে হারিদুর ইয়াসমিন (১৯) এবং ক্যাম্প-১৩ এর ব্লক-এ-১১ এর ২০৩৮৯৭ নং ঘরের বাসিন্দা মো. হোছনের মেয়ে জাহেরা বেগম (১৭)। আবারও সাগর পথে মানব পাচারকারী চক্র সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তারা রোহিঙ্গাদের লক্ষ্যবস্ত বানিয়েছে। মানব পাচারকারী চক্রটিকে ধরতে অভিযান চলছে। গত বুধবার ৯ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে আটক রোহিঙ্গাদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে’।

কয়েকজন রোহিঙ্গা মাঝি জানান, মালয়েশিয়ায় আত্মীয়-স্বজন থাকার কারণে রোহিঙ্গারা উন্নত জীবনের আশায় টাকার বিনিময়ে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে সাগরপথে বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে। এসব রোহিঙ্গা দালালের সঙ্গে স্থানীয় দালালরাও জড়িত রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, ‘হঠাৎ করে মানব পাচারকারী দালাল চক্র রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টা করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মানবপাচারকারী চক্রকে আটক ও প্রতিহত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট