চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

কধুরখীল ইউপি নির্বাচন

জমে উঠেছে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

সেকান্দর আলম বাবর, বোয়ালখালী

১০ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:১৩ পূর্বাহ্ণ

জমে উঠেছে কধুরখীল ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণা। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাচনের খরায় ভোগা কধুরখীলের জনপদ। আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকেরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সমানে। বসে নেই ইউপি সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী ও সাধারণ সদস্যপ্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। তারা হলেন আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিউল আজম শেফু (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম খোকন (আনারস) ও আবু জাফর মো. মুছা (মোটর সাইকেল)। একাধিক ভোটার বলেন, প্রার্থীরা ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটাররা প্রার্থীদের সামনে এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরছেন। নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিচ্ছেন।

কধুরখীল ২ নং ওয়ার্ডের ভোটার আবুল হোসেন বলেন, কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে তারা শঙ্কায় আছেন। কধুরখীল ৮ নং ওয়ার্ডের ভোটার প্রদীপ চৌধুরী বলেন, ভোট এলে অনেকে ভোট চাইতে আসেন। ভোট চলে গেলে তারা আমাদের কাছে আসেন না, শহরে কিংবা বিদেশ গিয়ে থাকেন। তাদের কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলা সম্ভব হয় না। যে প্রার্থী আমাদের খোঁজখবর রাখবেন, সে প্রার্থীকে আমরা নির্বাচিত করতে চাই।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. মুছার ভাই আবু নঈম মো. ইছা বলেন, ‘গণসংযোগকালে ভোটারদের কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারলে নিরব বিপ্লব হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম খোকন বলেন, নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বহিরাগত এনে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করতে পারে। এখনও বহিরাগত নিয়ে নির্বাচনের মাঠে আছে। তিনি বলেন, আমি চাই সুষ্ঠু ভোট। তাতে যেই জয়ী হোক মেনে নেব। তিনি তার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলেও জানান।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল আজম শেফু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। অবহেলিত কধুরখীলের উন্নয়নে জনগণের নৌকার বিকল্প নেই। গত ১৭ বছর উন্নয়ন বঞ্চিত জনগণের জন্য পরিবর্তনের এটি বড় সুযোগ। তিনি স্বতন্ত্রপ্রার্থীর অভিযোগের জবাবে বলেন, নৌকা দলীয় প্রতীক। এতে উপজেলা জেলা আ.লীগ সমন্বয় করছে, এরা ভোটারদের প্রভাবিত করছে না। আমি এলাকাবাসীকে নিয়ে মাঠে আছি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও প্রভাবমুক্ত করতে প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’ কধুরখীল ইউপি নির্বাচনে সব মিলিয়ে প্রার্থী সংখ্যা ৬৬ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৭৯৫ জন। এরমধ্যে ৫ হাজার ৫৫৩জন পুরুষ ও ৫ হাজার ২৪২ জন মহিলা। আগামী ১৪ অক্টোবর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট