চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ

হালদায় অবমুক্ত ১৫ হাজার পোনা মাছ

নিজস্ব সংবাদদাতা , হাটহাজারী

৯ অক্টোবর, ২০১৯ | ৩:১৯ পূর্বাহ্ণ

হালদা থেকে সংগৃহীত পোনা প্রক্রিয়াজাত করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করা হলেও হালদায় ফেলা হতো না হালদায় উৎপাদিত কার্প জাতীয় মাছের পোনা। স্থানীয় হ্যাচারি থেকেই ক্রয় করে কার্প জাতীয় মাছ ছাড়া হতো হালদায়। অথচ হালদার পোনা অধিক মানসম্পন্ন বিধায় সারাদেশের মাছ চাষীদের বেশি আগ্রহ হালদার পোনায়। এবার উপজেলা প্রশাসন প্রথমবারের মতো হালদা নদীর রেণু প্রক্রিয়া করে হালদায় ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার হালদা নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে ১৫ হাজার কার্প জাতীয় পোনা মাছ। পর্যায়ক্রমে ১ লক্ষ পোনা অবমুক্ত করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। ‘দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন
ক্ষেত্র হালদা নদীর কার্প জাতীয় মা মাছের মজুদ বৃদ্ধির লক্ষে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। যার মেয়াদ ধরা হয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৩০ আগস্ট এবং প্রকল্প গ্রহণের ২০/২৫ দিন পরেই হালদায় ডিম ছাড়ে মা মাছ। তারপর স্থানীয়রা তা সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে সনাতন পদ্ধতিতে রেণু উৎপাদন করে ।
গত জুন মাসে স্থানীয়দের কাছ থেকে এককেজি রেণু ক্রয় করে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গড়দুয়ারা ইউনিয়নের মডেল পুকুর নামে ঘোষিত একটি পুকুরে প্রক্রিয়াজাত করা হয় । এ রেণু থেকে চার মাসে এক লাখ পোনা মাছ হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। যার আকার সাড়ে ৫ইঞ্চি থেকে ৬ইঞ্চি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় সংবাদ কর্মী ও গড়দুয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মোর্শেদকে নিয়ে মাছ অবমুক্তের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমীন।
জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমীন বলেন, মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর পোনা দেশের অন্যান্য পোনার চেয়ে অধিক মানসম্পন্ন। তাই হালদা নদীর পোনা হালদাতে অবমুক্ত করে মা মাছের পরিমাণ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করি। হালদা নদীতে উন্নতমানের মা মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ডিমের পরিমাণও বাড়বে। যা দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, আজকে ১৫ হাজার পোনা ছাড়া হয়েছে পর্যায়ক্রমে এক লাখ পোনা অবমুক্ত করা হবে হালদা নদীতে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট