একমাত্র বাংলাদেশি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগে তাঁকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন জানিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি। একই সঙ্গে দেশের অনিশ্চয়তা ও রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে গভীর সংকট থেকে দেশ রক্ষায় ত্রাণকর্তার ভূমিকা রাখার জন্য সেনা-নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানদেরও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানানো হয়।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের জরুরি সভায় তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান সংগঠনের স্থায়ী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী। গতকাল বুধবার দৈনিক পূর্বকোণ সেন্টারে মরহুম ইউসুফ চৌধুরী কনফারেন্স হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদতবরণকারী ছাত্র-জনতাসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। এই প্রজন্মের আলোর দিশারী। দেশ-জাতির অহংকার। তাদের রক্তার্জিত এই বিজয় যেকোনো মূল্যে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। তিনি বলেন, এখন সকল মহলকে চরম ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করতে হবে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা সুরক্ষা ও বৈষম্যহীন দেশ গঠনে সম্মিলিত প্রয়াসে এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম নুরুল হক, মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইব্রাহীম, লায়ন মুহাম্মদ নুরুল আলম, সাংগঠনিক সচিব এডভোকেট ফয়েজুর রহমান বেলাল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দীন চৌধুরী আরও বলেন, দেশের গৌরবোজ্জ্বল সকল অর্জনে এই দেশের ছাত্রসমাজের অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে। তা কোভাবেই বিস্মৃত হওয়ার নয়। ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭১ ও ৯০-এর গণ-আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্র-সমাজের অমূল্য কীর্তি ও গৌরবগাথা ইতিহাস রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলনও অবিস্মরণীয় ও অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সফলতা অর্জিত হয়েছে।
উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতারা, দেশ ও জাতির আস্থা-নির্ভরতার প্রতীক সেনাবাহিনীর সকল সদস্যের পক্ষপাতহীন ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে সেনাবাহিনীর প্রধানকে অভিনন্দন জানান। তারা বলেন, আন্দোলনে নিহতদের সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার সুব্যবস্থাসহ সকলের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান। রাষ্ট্রের দায়িত্ব দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর হাতে ন্যস্ত অবস্থায় দেশে কোন রকমের অরাজকতা ও সহিংসতা কখনো কাম্য হতে পারে না। আমরা এ রকম ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।
বক্তারা জাতির সংকটময় মুহূর্তে প্রত্যেক বাংলাদেশি সচেতন ব্যক্তিকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতি অনুরোধ জানান।-বিজ্ঞপ্তি
পূর্বকোণ/এসএ