প্রথমবারের মতো চায়না বন্দরের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি জাহাজ সার্ভিস চালু করেছে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেডিটেরেনিয়ান শিপিং কোম্পানি (এমএসসি)। গতকাল সকাল ১১টায় এই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমএসসি জিন্না’ ৭৬৮ বক্স (১ হাজার ৪৮১ একক) আমদানি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-২ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে।
জাহাজটি আমদানি কনটেইনার নামিয়ে ১ হাজার ১১৬ একক রপ্তানি কনটেইনার নিয়ে আগামী কাল সকাল সাড়ে ৭ টায় চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন, দেশের প্রধান ও অন্যতম রপ্তানি পণ্য হলো তৈরি পোশাক। এই খাতের সিংহভাগ কাঁচামাল আসে চায়না থেকে। আর চায়না থেকে বাংলাদেশে পণ্য আসে অন্যান্য দেশের ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট হয়ে। কখনো কখনো ওইসব বন্দরে জাহাজ জট থাকলে আমাদের আমদানিকৃত কাঁচামাল আসতে সময় লাগে। এতে পোশাক পণ্য প্রস্তুত করে আবার ইউরোপ আমেরিকাতে পাঠাতে সময় লেগে যায়। তাই চায়নার সাথে নিয়মিত সরাসরি জাহাজ চালাচল করলে তৈরি পোশাকখাতসহ অন্যান্য আমদানিকাররাও উপকৃত হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ পূর্বকোণকে বলেন, আমাদের দেশে যত আমদানি পণ্য আসে তার বেশিরভাগই আসে চায়না থেকে। তাই চায়নার সাথে আমাদের সরাসরি জাহাজ চলাচল যত বেশি বাড়বে, তত বেশি আমাদের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে। কারণ সরাসরি জাহাজ চলাচল করলে কম সময়ে পণ্য আনা যায় এবং খরচও কম হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক পূর্বকোণকে বলেন, চট্টগাম বন্দরে সাথে ইউরোপের অনেক বন্দরের সাথে সারাসরি জাহাজ চলাচল আগেই শুরু হয়েছে। এরপর থেকে অনেক শিপিং কোম্পানিই চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সরাসরি জাহাজ চালুর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সরাসরি জাহাজ চালুর জন্য সব সময় সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে। ভবিষ্যতেও করবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে আমদনি পণ্য আনতে প্রথমে সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা বা মালয়েশিয়ার বন্দরে কনটেইনার পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফিডার ভ্যাসেলে কনটেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। জাহাজ থেকে ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্টে কনটেইনার নেমে সেখান থেকে আবার ফিডার জাহাজে উঠিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আনতে সময়ক্ষেপণ ও ব্যয় বেশি হয়। তবে সরাসরি জাহাজ আসলে সময় ও খরচ দুটিই কমে যাবে। আর পণ্য পরিবহন খরচ কমে গেলে ভোক্তা পর্যায়ে গিয়েও পণ্যের দাম কমবে।
পূর্বকোণ/এসএ