চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চরণদ্বীপ সিকদারীয়া সড়ক দশক ধরে ভোগান্তিতে স্থানীয়রা

বোয়ালখালী

৯ অক্টোবর, ২০১৯ | ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ

উপজেলার চরণদ্বীপ সিকদারীয়া সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে প্রায় ১০ বছর। স্থানীয়দের পণ্য আনা-নেয়াসহ যাতায়াতে তাই সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
কর্ণফুলী পাড় ঘেঁষে কালুরঘাট-ভা-ালজুড়ি সড়ক-লাগোয়া চরণদ্বীপ ফকিরাখালী ও মসজিদ ঘাটের ঠিক মধ্যবর্তী স্থান ইব্রাহিম খালের মুখ থেকে শুরু হয়ে এ সড়ক পূর্ব সৈয়দনগর চান্দারহাট সড়কের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এ সড়কের উত্তর-দক্ষিণে প্রতিদিন চলাচল করে কয়েক হাজার মানুষ। অসংখ্য খানা-খন্দকে ভরা ও খালের সাথে বিলীন হয়ে সড়কের এক কিলোমিটার অংশ চলাচলের অনুপযোগী রয়েছে এক দশক ধরে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, সড়কের ইব্রাহিম খালের মুখ থেকে সিকদারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার ১০ বছর পূর্বে মেকাডম করা হলেও এ পর্যন্ত কার্পেটিংয়ের মুখ দেখেনি। খাল পার্শ্ববর্তী হওয়াতে অন্ততঃ দশটি স্থানে খালের সাথে মিশে গেছে এ সড়ক। সংকীর্ণ সড়কটি দিয়ে যান চলাচলতো দূরে থাক, এখন মানুষের হাঁটাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এদিকে সিকদারীয়া স্কুল থেকে পূর্ব সৈয়দনগর পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার ডাবল ব্রিক সলিন হলেও সমস্যা অনেক। এখানে কোথাও এক ইটের, কোথাও ডাবল ইটের সলিন। স্থানীয়রা সড়কটি সংস্কারে স্থানীয় প্রশাসন, এমপি’র কাছে বারবার ধর্ণা দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না বলে জানান। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুধুমাত্র জোরালোভাবে তদবির হচ্ছে না বলেই এ সড়কের এত বেহাল দশা। সড়কে বড় বড় গর্তে বৃষ্টিতে পানি জমে পানি-কাদায় একাকার হয়ে যায়। শুকনো মৌসুমে ধুলোর সাথে বসবাসে ত্রাহি অবস্থার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবর সড়ক সংস্কারে লিখিত দরখাস্ত এবং দাবি জানালেও এ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে জানান দরখাস্তকারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১০ বছর আগে কাজে অনিয়ম ও নির্দিষ্ট সময়ে কাজ বুঝিয়ে দিতে না পারায় কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ নিয়ে দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। নতুন দরপত্র আহ্বান না হওয়া পর্যন্ত উন্নয়নের আলোর মুখ দেখছে না এ সড়কটি।
স্থানীয় মো. হাসান উল্লাহ মাজেদ জানান, এ রাস্তাটিতে দীর্ঘসময় কোন সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। এটিকে মৃত রাস্তা বলা যায়। এভাবে আর কয়েক বছর গেলে মূল রাস্তার চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যাবে না। অজ্ঞাত কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সকলেই এ ব্যাপারে উদাসীন।
এদিকে চরণদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম জানান, সড়কটির অবস্থা গত এক দশক ধরে সত্যিই নাজুক। এ বছর আইডিআরবি-৩ এর আওতায় ৬শ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। এতে রয়েছে সড়ক সংস্কার ও রিটেইনিং ওয়ালের কাজ। তিনি বলেন, সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ হতে পারে।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আহসান পূর্বকোণকে বলেন, বিষয়টি নলেজে আছে। এমপি মহোদয়ের প্রকল্পে এটি দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাস হলেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের এ সমস্যার নিরসন করা হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট