চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

হোটেল বয় থেকে কোটিপতি মনছুর

চন্দনাইশ সংবাদদাতা

৮ অক্টোবর, ২০১৯ | ৯:৪৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের পিয়ন মনছুর হোটেল বয় থেকে এখন কোটিপতি। চন্দনাইশ পৌর এলাকায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আলিশান ৪ তলা বাড়ি, নগরীতে রয়েছে ড্রাইভিং স্কুল। তার পিতা সিরাজুল ইসলাম একজন রিক্সা চালক।

জানা যায়, হারলার রিক্সা চালক সিরাজুল ইসলামের প্রথম স্ত্রীর প্রথম ছেলে আবুল মনছুর প্রকাশ মিন্টু (৩৫)। কওমি মাদ্রাসা থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে। প্রথমে কোর্টবিল্ডিং এলাকায় হোটেল বয় হিসেবে চাকুরী নেয়। পরবর্তীতে এলাকার এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে নগরীর সৈনিক ক্লাবে চাকুরী পায়। সেখান থেকে এক যুগ আগে অন্য এক বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় আবাহনী লিমিটেড (চট্টগ্রাম) এ পিয়ন হিসেবে যোগদান করে। তার পিতা সিরাজুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে সরকারের দেয়া হাশিমপুর গুচ্ছগ্রামে বসবাস করে। বর্তমানেও রিক্সা চালিয়ে জীবন অতিবাহিত করেন তিনি।

বিগত ১২ বছরে মনছুর চন্দনাইশ পৌরসভার নয়াহাট এলাকায় দুই বছর আগে ওসমান চৌধুরীর নিকট থেকে ৬ শতক জমি ক্রয় করে মাটি ভরাট করে। পরবর্তীতে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ তলার ফাউন্ডেশন দিয়ে চার তলা বিশিষ্ট পাকা দালান নির্মাণ করে। ভবনের চার তলায় একটি আলিশান কক্ষ নির্মাণ করা হয়, যেখানে মনছুর বাড়িতে বেড়াতে আসলে থাকে। নীচ তলায় ভবনের ভিতরে-বাহিরে টাইল্স লাগিয়ে দৃষ্টিনন্দন করে তুলে। তার ঘরের দরজাগুলি ব্যয়বহুল এবং দৃষ্টিনন্দন। একইভাবে ঘরে রাখা ফার্নিচারগুলো অনেক নামী-দামী এবং ভিআইপি ডিজাইনের।

স্থানীয়দের মতে, মনছুরের রয়েছে চৌধুরী পাড়া এলাকায় দুই স্পটে ২০ শতকের অধিক জায়গা। ক্রয়কৃত জমিতে মাটি ভরাট করে গাছ রোপন করে। চন্দনাইশের পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু জায়গা ক্রয় করেছে, তার মালিকানাধীন দুটি ডাম্পার গাড়ি, একটি মোটর বাইক, একটি বিমান শো-হাইচ রয়েছে।
এ ব্যাপারে মনছুর জানান, সে দীর্ঘ একযুগ ধরে হালিশহর আবাহনী ক্লাবে পিয়ন হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় পরে বহদ্দারহাট এলাকায় হোটেল বয় হিসেবে কাজ করেছে। পরবর্তীতে এলাকার এক বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় নগরীর সৈনিক ক্লাবে কাজ পায়। পরে আবাহনী ক্লাবে যোগ দিয়ে দৈনিক দুই থেকে পাঁচ হাজার, কোন কোন সময় ১০ হাজার টাকার অধিক বকশিস পেতেন বলে জানান। তবে তাদের মাসিক কোন বেতন ভাতা ছিলনা। এভাবে তাদের সাথে ৪৪ জন পিয়ন এ ক্লাবে কাজ করত।

সে আরও জানান, সিআরবি’তে একটি ড্রাইভিং স্কুল আছে। সেখানে দুটি কার রয়েছে, তার ডাম্পার গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছে। হাইচ গাড়ি এবং পাহাড়ে জায়গা থাকার কথা অস্বীকার করেছে। ড্রাইভিং স্কুলটি তিনজনে মিলে করেছে, স্কুলে থাকা দুটি কার গাড়ির মূল্য চার লাখ টাকা বলে জানান।

পূর্বকোণ-রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট