চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৯৪ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ

টেকনাফ  

৮ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:৫০ পূর্বাহ্ণ

সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৯৪ বস্তা প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য পরিস্কার করেছেন ৩৯ জন পর্যটক। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন ভ্রমণ প্রেমীরা। প্রতিনিয়ত সেখানে পর্যটক সমাগম বাড়ছে। কিন্তু তাদের ফেলে রাখা বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে দ্বীপের পরিবেশ। ৩৯ জন ভ্রমণপ্রেমী ৩ দিনে ৯৪ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করেন। এগুলোর ওজন ৫৫৫ কেজি। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ (টিওবি) গ্রুপের সদস্য। অনুরূপভাবে ২০১৭ সালে টিওবি গ্রুপের ৫৫ জন সদস্য প্রায় ১৪০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করেন। গত বছর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার ইচ্ছে থাকলেও ট্রলারে জায়গা না থাকায় তাদের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করেন টিওবি গ্রুপের ভ্রমণপ্রেমীরা। ৫৫৫ কেজি বর্জ্য সংগ্রহ করে রবিবার ৬ অক্টোবর বিকেলে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ ফিরেন। সেন্টমার্টিনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেওয়া ৩৯ জন ভ্রমণপ্রেমী নিজ খরচে দ্বীপ থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য কুড়িয়ে এনেছেন। তাদের এই সেন্টমার্টিন পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগে সহায়তার করে ড্রিম নাইট রিসোর্ট। স্বেচ্ছাসেবীদের এতে থাকতে কোনও টাকা দেওয়া লাগেনি। শুধু নিজেদের খরচে আয়োজন করা হয়েছে খাবারের।

স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন পরিষ্কার ও সচেতনতা বৃদ্ধির অভিযানের জন্য ৩৯ জন ৩টি দলে ভাগ হয়ে কাজ করেছেন। সবাই ময়লা সংগ্রহ করে বস্তায় ভরে জেটি ঘাটের কাছে জমা করেন।

সেন্টমার্টিনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ (টিওবি) গ্রুপের অন্যতম এডমিন নিয়াজ মোরশেদ বলেন, ‘আমাদের এই অভিযান দেখে যদি কেউ ব্যবহৃত পানির বোতল না ফেলে  ফেরত আনেন তাহলেই সার্থক মনে করবো। বছরে দুই-একবার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে সব বদলে যায়না।

আমরা যত আবর্জনা সংগ্রহ করেছি তা দ্বীপে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মোট প্লাস্টিক বর্জ্যের ৫ শতাংশও না। জনস্বার্থে আদালতে একটি রিট আবেদন করতে চাই আমরা, যাতে কোমল পানীয় বোতল, চিপস, বিস্কুট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবেশ বিপর্যয় রক্ষায় বর্জ্য রি-সাইকেল ও সংগ্রহের জন্য তহবিল রাখতে বাধ্য হয়’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট