চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মহেশখালীতে প্যারাবন নিধন 

অবৈধ চিংড়ি ঘের গুঁড়িয়ে দিয়েছে বনবিভাগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মহেশখালী

৮ অক্টোবর, ২০১৯ | ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের অধীনস্থ চরণদ্বীপ রেঞ্জের আওতাধীন শতাধিক বনকর্মী অভিযান চালিয়ে মহেশখালীতে অবৈধ একটি চিংড়ি ঘের গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া প্রচুর পলবোটসহ ঐ ঘেরের ৩ টি খামার বাড়িও গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ অভিযানটি চলে ৫ অক্টোবর শনিবার দিন ব্যাপী।

চরণদ্বীপ রেঞ্জের আওতাধীন জেএমঘাট উপকূলীয় বনবিটের অধীনে থাকা বিশাল প্যারাবন কেটে চকরিয়া ও কক্সবাজার সদর উপজেলার গোমাতলি এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গেল সংসদ নির্বাচনের পর থেকে প্রতিযোগিতা দিয়ে ব্যাপক হারে চিংড়ি ঘের নির্মাণ অব্যাহত রেখেছিল। এমনকি ১০/১২টি চিংড়ি ঘের নির্মাণ করে মাছ ধরার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। ঘেরের মালিকরা প্যারাবন নিধন করতে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করলে বিষয়টি চট্টগ্রাম উপকূলীয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নজরে পড়ে। এ কারণে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নেতৃত্বে মহেশখালীও চকরিয়া থানার একদল পুলিশ সহ শতাধিক বন কর্মী গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে এসব অবৈধ চিংড়ি ঘের উচ্ছেদ করতে যায়। এসময় চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের বাসিন্দা জামাল চৌধুীর ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যন নুরুল কাদের সহ অন্যান্যদের নির্মাণাধীন বৃহত্তম একটি ঘের কেটে দিতে গেলে প্রথমে সন্ত্রাসীরা তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ দেখে তারা পালিয়ে যায়। পরে প্যারাবন নিধন করা ২টি স্কেভেটারে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় বন কর্মীরা। ঘেরের বাঁধও কেটে তচনচ করে দেয়। এ অভিযানের পর দখলবাজরা কয়েকদিন নিরব থাকলেও পুনরায় বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার কার্যক্রম শুরু করেছে। সর্বশেষ সহকারী বন সংরক্ষক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের নির্দেশে গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হকের উপস্থিতে মহেশখালী টহল দলের প্রধান নুরুল হোছাইন চৌধুীর ও সেকেন্ড ইন কমান্ড আহসানুল কবির এর নেতৃত্বে শতাধিক বনকর্মী গত ৫ অক্টোবর জামাল চৌধুরী গংদের অবৈধ চিংড়ী ঘেরে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ পলবোটসহ ৩টি খামার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া ঘেরের বাঁধটিও কেটে দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী বন বিভাগের টহলদলের প্রধান নুরুল হোছাইন চৌধুরী। এভাবে অবৈধ চিংড়ী ঘের গুলো উচ্ছেদ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সুশীল সমাজ।

চরণদ্বীপ রেঞ্জের আওতাধীন জেএমঘাট উপকূলীয় বনবিটের প্রধান নুরুল হোছাইন চৌধুরী পূর্বকোণকে বলেন, আমাদের এ অভিযান ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট