চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

হুইপের বিবৃতি আমার বক্তব্য বিকৃত করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:৩৩ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় সংসদের হুইপ ও সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেছেন,
মাদক, সন্ত্রাস, ক্যাসিনো, জুয়া ও সকল অসামাজিক ও অবৈধ কর্মকা-ের বিরুদ্ধে আমার কঠোর অবস্থান সবসময় ছিল। আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে আমাকে যারা কাছ থেকে চিনেন তারা ভালভাবেই জানেন আমার অবস্থান এসব কর্মকা-ের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামে আমার দেওয়া একটি বক্তব্য বিভিন্ন মিডিয়া বিকৃত ও খ-িতভাবে প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। কয়েকটি ক্লাবের অপরাধের জন্য ঢালাওভাবে সবাইকে দোষারোপ না করার উদ্দেশ্যেই আমার বক্তব্য ছিল। আমার বক্তব্যের কিছুটা প্রতিফলন বিডিনিউজের প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।
অন্যদিকে দেখলাম একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার ফেসবুকে ভুয়া বানোয়াট মনগড়া একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ঐ কর্মকর্তার নামে আমি দেশের প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ঐ পুলিশ অফিসারের বাড়ি ফেনী এবং ছাত্রজীবনে বিএনপি জামাত-সমর্থক ছিলেন।

চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাব বলতে মাত্র একতলা টিনশেডের তিনটি ছোট রুম যা সর্বোচ্চ ১৭০০ বর্গফুটের, যাতে আমাদের খেলোয়াড়, সাবেক খেলোয়াড়, সমর্থক গোষ্ঠী ও আবাহনী জুনিয়রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বসেন। এখান থেকেই ১৮০ কোটি টাকা উপার্জনের যে বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট তথ্য দিলেন সরকারবিরোধী ঐ পুলিশ অফিসার তা হাস্যকর ও অত্যন্ত নিন্দনীয়। কোনরুপ সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই তিনি প্রসাশন ও আমার নামে (আমার নামটিও ভুল) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে লিখেছেন। চট্টগ্রাম আবাহনী ও আমার বিরুদ্ধে অতীতেও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, আল্লাহর রহমতে কোন ষড়যন্ত্র আমাকে নীতি নৈতিকতা ও আদর্শের পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। আমি প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের বলব, আমার বক্তব্য ভাল মত শুনে, তারপর লিখবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কারো মনগড়া গুজবে কান দিবেন না।

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের সরকারের যে অভিযান চলছে তা যেন কোন কুচক্রীমহল ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে না পারে সেদিকে সবাই সচেষ্ট থাকুন। বিজয় আমাদের হবেই ইনশাল্লাহ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট