চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নির্মল বিনোদনের নামে ক্লাবে জুয়ার আসর নয় : মেয়র

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:৩৩ পূর্বাহ্ণ

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সুস্থ বিনোদনের উদ্দেশ্যে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত ক্লাবগুলোতে খেলাধুলা বাদে যদি জুয়ার আসর বসানো হয়, আমি এর পক্ষে নই। এর জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা ক্লাব করি নির্মল বিনোদনের জন্য। এর অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ক্রীড়াঙ্গন। এটি একটি পবিত্র অঙ্গন। এটিকে অপবিত্র করার অধিকার কারো নেই। প্রয়োজনে নিজের সামর্থ ও শুভাকাঙ্খিদের সাথে নিয়ে ক্লাব পরিচালনা করব।

তিনি গতকাল (সোমবার) সকালে দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমান বাজারস্থ আইএস কনভেনশন হল চত্বরে চসিক আয়োজিত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতিবিরোধী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন চসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর এইচ. এম সোহেল, চসিক’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) মো. আফজাল হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তপন কান্তি শর্মা, সাবেক কাউন্সিলর জাফর আলম চৌধুরী, দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড আ. লীগের সহ-সভাপতি এম এ মালেক, বায়েজিদ থানা আ. লীগের সহ- সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান রশিদ।

এতে মেয়র বলেন, জুয়া, মদ, ক্যাসিনো বসিয়ে ক্লাব পরিচালনার কথা কোথাও নেই। আমাদের সংবিধান ও পবিত্র ইসলাম ধর্মে নেই। ইসলাম ধর্মে জুয়া সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ। এটা জায়েজ করার সুযোগ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় ভ্রাতা শহীদ শেখ কামাল যিনি অনেক বড় ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন, তাঁর নাম ব্যবহার করে জুয়ার আসর বসিয়ে ক্লাব চালানো, এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। এখানে বিভ্রান্ত হওয়ারও সুযোগ নেই। যারা জুয়ার বোর্ড বসাবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র। তিনি বলেন, প্রথমত আমদেরকে নিজেদের শুধরাতে হবে। যদি আমি মদ ও জুয়ার সাথে জড়িত না থাকি, তাহলে আমার বুকে সাহস থাকবে। ব্যক্তিগতভাবে ১৯৮৫ সাল থেকে আমিও ক্লাব চালাই। আমি চট্টগ্রাম ব্রাদার্স ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, দীর্ঘদিন যাবৎ সভাপতি পদে আছি। এ ক্লাব অনেকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি ক্লাব করছি না কারণ ক্লাবঘর করলে কেউ না কেউ অবৈধ কাজ করবে। এ ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকা-ের সাথে জড়িত নয় আমার ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

মেয়র বলেন, সন্ত্রাস ও মাদক একে অপরের পরিপূরক। যেখানে মাদক, সেখাইনেই সন্ত্রাস। মাদক নির্মূল করা গেলে সন্ত্রাসও নির্মূল হবে। ইসলামে জঙ্গিবাদের স্থান নেই উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কঠোর অবস্থানের কারণে জঙ্গিবাদ দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না। জঙ্গিবাদে জড়িতরা তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, শীঘ্রই ৪১টি ওয়ার্ডে মাদক ব্যবসার মতো ঘৃণ্য পেশার সঙ্গে জড়িতদের তালিকা তৈরি করে প্রকাশ করা হবে। এই তালিকা প্রকাশের পূর্বেই সংশোধন না হলে তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে। অক্টোবরের ১৫-২৫ তারিখে মধ্যে লালদিঘি মাঠে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথি থাকবেন।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট