চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

‘ক্লাবের নামে জুয়ার আসর বসানো যাবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ৪:২৬ অপরাহ্ণ

ক্লাব চালানোর জন্য জুয়ার আসর প্রয়োজন এমন কথার প্রতিবাদ জানিয়ে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘ক্লাব করি নির্মল বিনোদনের জন্য। এর জন্য শক্তিশালী মাধ্যম ক্রীড়াঙ্গন। এটি পবিত্র অঙ্গন। এটিকে অপবিত্র করার অধিকার কারো নেই। নিজের সামর্থ্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকে নিয়ে ক্লাব পরিচালনা করবো।’ আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমান বাজার আইএস কনভেনশন হলে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতিবিরোধী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এটি ছিল চসিকের ৪০তম মাদকবিরোধী সভা। মেয়র বলেন, জুয়ার আসর বসিয়ে, মদের আসর বসিয়ে, ক্যাসিনো বসিয়ে ক্লাব পরিচালনার কথা কোথাও নেই। সংবিধান ও ইসলামে জুয়া নিষিদ্ধ। এটা জায়েজ করার সুযোগ নেই।

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় ভ্রাতা শেখ কামাল যিনি অনেক বড় ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন, উনার নাম ব্যবহার করে জুয়ার আসর বসিয়ে ক্লাব চালাবে-এটার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এখানে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। যারা জুয়ার বোর্ড বসাবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এটা করবেন।’ যোগ করেন মেয়র নাছির। ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার, যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তপন কান্তি শর্মা, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসএম সোহেল প্রমুখ।

লালদীঘি মাঠে সমাবেশ সম্পর্কে মেয়র বলেন, অক্টোবরের ১৫-২৫ তারিখের মধ্যে বিশাল সমাবেশ করবো লালদীঘি মাঠে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথি থাকবেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সিএমপি কমিশনার থেকে শুরু করে প্রশাসনের সবাই উপস্থিত থাকবেন। এর আগে ৪১ ওয়ার্ডে মাদক ব্যবসার মতো ঘৃণ্য পেশার সঙ্গে জড়িতদের তালিকা তৈরি করে প্রকাশ করবো। সামাজিকভাবে তাদের বয়কট করবো। তারা এ চট্টগ্রাম শহরে থাকতে পারবে না। সে যেই হোক চট্টগ্রাম শহরে তাদের থাকার অধিকার নেই। কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি নিয়ে সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী কমিটি করা হবে। আমরা এগুলো নির্মূল করতে চাই। কাঁচা টাকা, অবৈধ টাকার অধিকার যারা হোন তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেন। অনেক ধরনের দুর্নীতি আছে। দুর্নীতি থেকে নিজেরা বিরত থাকতে হবে, পরিবারের সদস্যদের দূরে রাখবেন। পরিবারের সদস্য কোথায় যায় কার সঙ্গে মেশে খোঁজ রাখতে হবে। তারা যাতে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক ও জঙ্গিবাদে না জড়ায় সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।

কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সে মন্ত্রী, এমপি যেই হোক। তারা নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত করছেন না, প্রজন্ম ও সমাজ ধ্বংস করছেন। তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের মাধ্যমে উন্নত, সমৃদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। তারা যদি মেধাশূন্য হয়, বিপথগামী হয় তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। তাই দয়া, করুণা, সহানুভূতির সুযোগ নেই।

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/ময়মী

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট