চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি ইসির ৪ কর্মী পুলিশ হেফাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:২৬ পূর্বাহ্ণ

এনআইডি জালিয়াতি করে রোহিঙ্গাদেও ভোটার করার ঘটনায় চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন অফিসের চার ডাটা এট্রি অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। চারজন হলেন, কোতোয়ালী থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা অপারেটর মো. শাহীন, ফাহমিদা রহমান, ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের অপারেটর পাভেল বড়–য়া ও বন্দর থানা নির্বাচন অফিসের অপারেটর জাহিদ হাসান।

চট্টগ্রাম কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ জানান, রবিবার সকালে নগরীর লাভ লেইনে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে ওই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসেইন খান বলেন, ওই চারজন জেলা নির্বাচন অফিসে অস্থায়ী নিয়োগে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।

লাকী আক্তার নামে এক রোহিঙ্গা নারী সম্প্রতি ভুয়া এনআইডি সংগ্রহ করে পাসপোর্ট নিতে গিয়ে ধরা পড়ার পর জালিয়াত চক্রের খোঁজে নামে নির্বাচন কমিশন। রোহিঙ্গা সন্দেহে অর্ধশত এনআইডি বিতরণ আটকে দেয় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদেও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগে দুই দালালকে আটক করার পর তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের পিয়ন জয়নাল আবেদিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্সধারী একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার আরো একটি ল্যাপটপসহ মোস্তফা ফারুক নামে এক অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। যিনি বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অধীনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে কাজ করেছিলেন।

ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, “জয়নালের দেওয়া জবানবন্দিতে বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে। যাদের নাম এসেছে তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহ করব। যাচাই বাছাই করে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট