চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সবুজ মেলার সমাপনীতে সিটি মেয়র

সৌন্দর্যবর্ধনে এবছর থেকে ‘মেয়র এওয়ার্ড’ দেয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:১৫ পূর্বাহ্ণ

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপণের বিকল্প নেই। তাই নগরীকে সবুজে ভরে তুলতে হলে নিজের মালিকানাধিন খালি জায়গা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশেপাশে কিংবা ছাদে বাগান করতে হবে। সবুজায়নকারীদের সৌন্দর্যবর্ধনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এবছর থেকে বোর্ডের মাধ্যমে ‘মেয়র এওয়ার্ড’ প্রদান করার ব্যবস্থাও করবো। মনে রাখতে হবে বৃক্ষ মানব জীবনের অপরিহার্য অংশ। বৃক্ষ ছাড়া প্রাণিকুল কল্পনাই করা যায় না। গাছ লাগান, জীবনকে দীর্ঘায়ু করুন। পরিবারে একটি শিশু জন্মালে তার জন্য একটি বৃক্ষ রোপণ করুণ। সে বৃক্ষ আমৃত্যু দিবে অক্সিজেন।
তিনি গতকাল (রবিবার) সবুজ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা, নগর পরিকল্পনা স্ট্যান্ডিং

কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু, তিলোত্তমা চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান সাহেলা আবেদীন, ডেপুটি সেক্রেটারি আবু শাহেদ চৌধুরী, কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু, সলিম উল্লাহ বাচ্চু ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম।
প্রধান অতিথি এম এ মালেক বলেন, মানুষ প্রতিদিন যে হারে বৃক্ষ কাটছে এতে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে। অক্সিজেনের অভাবে প্রাণিকুল দিন দিন ভয়ানক বিপদের দিকে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ব একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিমাণ বনায়নের প্রয়োজন, সে পরিমাণ বনায়ন নেই। উল্টো মানুষ তা ধ্বংস করছে। এই চট্টগ্রামে একসময় সবুজের সমাহার ছিল। যা এখন আর দেখা যায় না। মানুষ বৃক্ষ কেটে তৈরি করেছে স্থাপনা। তাই আগামী প্রজন্মর জন্য এই শহরকে বসবাসযোগ্য করতে হলে এখনি নগরীকে সবুজায়নে ভরে তুলতে হবে।

এতে মেলার সেরা নার্সারি হিসেবে পাঁচ নার্সারির মালিককে ‘মেয়র এওয়াড’ প্রদান করা হয়। সেরা পাঁচ নার্সারির মধ্যে ১ম হয়েছে সবুজ বিপ্লব নার্সারি। যৌথভাবে ২য় হয়েছে পুষ্প নার্সারি ও বাহাদুর নার্সারি। ৩য় হয়েছে নিউ কসমো ও বনসাই ড্রিম নার্সারি। অতিথিবৃন্দ তাদের হাতে ক্রাস্ট ও সনদ তুলে দেয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে কাজির দেউড়ি আউটার স্টেডিয়ামে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে ও তিলোত্তমার সহযোগিতায় এ মেলা শুরু হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট