চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাউজানে ত্যাগীদের হাতেই আ. লীগের পতাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা হ রাউজান

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:১৪ পূর্বাহ্ণ

রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে পরিচ্ছন্ন দুই প্রবীণ রাজনীতিকের হাতে সভাপতি-সম্পাদকের হাতে দায়িত্ব অর্পণ, এ যাবৎকালের বিশাল, সুশৃঙ্খল এবং কমিটি নিয়ে কোন মতভেদ না থাকায় প্রশংসায় ভাসছেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও সম্মেলন বাস্তবায়ন প্রস্তুতি কমিটি। কোন অঘটন, বাদ-বিবাদ, কমিটি নিয়ে কোন পর্যায়ে অসন্তোষ ছাড়াই এবং দু’একজন ছাড়া প্রশ্নহীন কমিটি ঘোষিত হওয়ায় এটিকে রাউজানের ইতিহাসে একটি অন্যতম সুন্দর কমিটি বলে আখ্যা দেয়া হচ্ছে। গত শনিবারের মহাসমাবেশে রূপ নেয়া এবং বিশৃঙ্খলহীন সম্মেলন অন্যান্য উপজেলার জন্য দৃষ্টান্ত ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। অনেকের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, তৃণমূল থেকে উঠে আসা দুই শিক্ষাবিদ আবদুল ওহাব ও অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরীকে রাউজান আওয়ামী লীগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দু’জনই দল ছাড়াও সমাজের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে এরকম গ্রহণযোগ্য কমিটি দেয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে অনেকে। অনেকের মতে হাইব্রিড ও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য দলে আসা এমন কোন নেতা যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে স্থান পায়না, বা আওয়ামী লীগ তাদের উপর নির্ভর নয়, সেটি প্রমাণিত হয়েছে আবারও। হাইব্রিড নেতাদের দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, শেখ হাসিনার রূপকল্প যে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, সেটি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি রাউজান আওয়ামী লীগের কমিটির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। অনেকে মনে করেন, রাউজান আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দুই শিক্ষাবিদ ও ত্যাগী

নেতার স্থান হওয়ায় এ সংগঠনের সম্মান, সাংগঠনিক গতিশীলতা আরো বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে অন্যান্য উপজেলা রাউজান আওয়ামী লীগের পরিচ্ছন্ন কমিটি থেকে শিক্ষালাভ করতে পারে। এ প্রসঙ্গে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রশংসা করে বলেন ‘এত বড় আয়োজন করে যে সম্মেলন করা হচ্ছে, তা আমি আমার এলাকায়ও পারিনি। ফজলে করিমের নেতৃত্বে রাউজান শান্তির জনপদে পরিণত হওয়ায় এ ধরণের সাফল্যে এসেছে।’ উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম বলেন ‘রাউজান সম্মেলন আয়োজন খুব পরিপাটি, সুন্দর, সুশৃঙ্খল হয়েছে। যেটি সম্মেলনে বক্তব্যে বলেছি। অন্যান্য উপজেলায়ও এ ধরণের সম্মেলন হওয়া উচিত।’ স্থানীয় এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন ‘সাংগঠনিক ভিত্তি দেয়ার জন্য, সংগঠনকে আদর্শবান করার জন্য রাউজানে আমরা অনেক কিছু করেছি। নবগঠিত কমিটি নতুন পুরনোর সমন্বয়ে করা হয়েছে। রাউজান যে একটি ব্যতিক্রমী এলাকা সেটি শনিবারের সম্মেলনে আবারো প্রমাণিত হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বখতেয়ার সাঈদ ইরান বলেন ‘রাউজান আওয়ামী লীগের সম্মেলন অবশ্যই ভালো হয়েছে। বিশাল সম্মেলন, সুশৃঙ্খল সম্মেলন হয়েছে। এ সম্মেলন সবার নজর কেড়েছে।’ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অর্থ সচিব উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন ‘রাউজান আওয়ামী লীগের সম্মেলন জাতীয় অনুষ্ঠানের মতো হয়েছে। এটি সর্বকালের সেরা সম্মেলন হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি, দেশের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে একটি সেরা সম্মেলন উপহার দিতে।’ রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল ওহাব নির্বাচিত হওয়ার পর নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন ‘কমিটিতে নতুন যারা এসেছেন, যারা আসেনি, তাদের প্রত্যককে নিয়ে আমরা দলের ভাবমূর্তি আরো বাড়ানোর জন্য কাজ করবো। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি গ্রিন, ক্লিন, পিংক রাউজান গড়ার যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে চলেছে, সেটি আরো বেগবান করতে নবগঠিত রাউজান আওয়ামী লীগ কাজ করবে। এ প্রসঙ্গে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন ‘আওয়ামী লীগের একটি গঠনতন্ত্র আছে। ম্যানিফেস্টো আছে। দলের হয়ে, দেশের হয়ে কাজ করার জন্য এলাকার মানুষ, সকল পেশাজীবীর সহযোগিতা চাই।

আবদুল ওহাবের সংক্ষিপ্ত জীবনী ঃ
আবদুল ওহাব একজন মুক্তিযোদ্ধা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। পারিবারিকভাবে তিনি সচ্ছল পরিবারের সন্তান।
মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে খবর পাঠ করতেন।

তার বাবার নাম মৃত আলহাজ আবদুল হালিম। গহিরা, ৩নম্বর ওয়ার্ড। রাউজান পৌরসভা। তিনি একসময় রাউজান থেকে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ নির্বাচন করেন। এছাড়াও তিনি তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। আজীবন তিনি আওয়ামী লীগই করে গেছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবনী ঃ
৭৫ পরবর্তী উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সদস্য
৮৬-৯০ পর্যন্ত উত্তরজেলা যুবলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এরপর আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স ও এলএলবি পাস করেন।
তিনি দীর্ঘদিন নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবা মৃত মো. আবু বকর চৌধুরী (বড় মিয়া)। হারপাড়া। উরকিরচর।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট