চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সাতকানিয়ার শ্রমিকের মৃত্যু সৌদি আরবে

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাতকানিয়া

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:০৪ পূর্বাহ্ণ

একসময় দেশে ট্রলি চালিয়ে সংসারের ব্যয়ভার বহন করতো আবদুল মান্নান (৫৪)। তাতে কুলাতে না পেরে বিগত ৭ বছর আগে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে পাড়ি জমান সৌদি আরব। সেখানে শ্রমিকের কাজ করে রোজগারের টাকা বাড়ি পাঠিয়ে কোনরকমে সংসারের চাকা সচল রাখার প্রাণান্তর চেষ্টা অব্যাহত ছিল তার। এভাবেই চলতে চলতে বিগত রমজান মাসে হার্টের রোগ ধরা পড়ে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু অবশেষে জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মান্নান পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। গত শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবদুল মান্নানের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মরফলা হাকিম আলী বাপের মৃত ওয়াহেদ আলীর পুত্র। বর্তমানে তার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়ার পাশাপাশি ঘোর অমানিশা।

মান্নানের বড় মেয়ে ছালমা আক্তার বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার ২দিন আগে মক্কা থেকে কাজের সন্ধানে জুম্মম যায়। সেখানে হঠাৎ বুকে ব্যথা উঠে মারা যান। সৌদিতে অবস্থানরত আমার খালার দেবর আহমদ হোসেন ফোন করে বাবা মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বাবাকে সৌদি আরবেই দাফন করা হবে। ছালমা আক্তার আরো বলেন, আমরা ৫ বোন। এর মধ্যে ১ বোন সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। অন্য ২ বোন সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে ঢেমশা উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। সবার ছোট বোনটির বয়স ৬ বছর। ছালমা আক্তার বলেন, আমার বিয়ের আক্দ হয়েছে খালাত ভাইয়ের সাথে। এখনো শ্বশুর বাড়িতে তুলে নেয়নি। এখন কীভাবে সংসার চলবে তা বুঝে উঠতে পারছি না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট