চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

নেপথ্যে ১১ জনের সিন্ডিকেট

ফটিকছড়িতে বনবিভাগের জায়গায় বসতবাড়ি নির্মাণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:০৩ পূর্বাহ্ণ

উত্তর ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়নে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের জায়গা দখল করে ও পাহাড় কেটে দিনে দিনে গড়ে উঠছে অবৈধ বসতি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দাঁতমারা ইউপির এক মেম্বারের নেতৃত্বে ১১ জনের একটি সিন্ডিকেট এসব অবৈধ বসতি নির্মাণের জন্য স্থানীয়দের মধ্যে বনবিভাগের সম্পত্তি চড়া দামে বিক্রি করে আসছে। বনবিভাগের ভূমি দখল করে কোন প্রকার স্থাপনা কিংবা বসতি স্থাপন আইনত দ-নীয় হলেও উক্ত সিন্ডিকেট লিজ নেয়ার নামে চড়াদামে বিক্রি করছে এসব সম্পত্তি। আর তাতেই নির্মিত হচ্ছে বসতি। হেঁয়াকো বন গবেষণা ইনস্টিটিউট কার্যালয় ও হেঁয়াকো বন বিট কার্যালয়ের খুব কাছাকাছি এসব অবৈধ বসতি নির্মিত হলেও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এসব দেখার কেউ নেই।

তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার দাঁতমারা ইউপির রামগড়-বারৈয়ারহাট সড়কের ফুলছড়ি মসজিদের উত্তর পাশে বনবিভাগের জায়গা দখল করে ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে বেশ কয়েকটি বসত ঘর। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রিসার্চ সেন্টারের জায়গাগুলো ইউপি সদস্য ইউছুপ ও সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুর রহমানসহ ১১ জনের একটি সিন্ডিকেট লিজ নেয়ার নামে দখল করে বাস্তুহারা মানুষের কাছে চড়াদামে বিক্রি করে আসছে। মৌখিকভাবে তারা দখল দিচ্ছে, কিন্তু বৈধ কোন লিখিত কাগজপত্র কাউকে দেয়নি। সেইসাথে জনপ্রতি কারো কাছে ৪ লাখ, কারো কাছে ৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে ওই সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের প্রধান ইউছুপ মেম্বার ও শফিকুর রহমান জানান, তারা রিসার্চ সেন্টার থেকে প্রায় পাঁচ একর জায়গা ১০ বছরের জন্য লিজ নেয় গত তিন বছর আগে। সেই জায়গায় গাছ রোপণ করেছে। লিজ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা লিখিত কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিভিশনাল অফিসার হাসিনা মরিয়ম মুঠোফোনে বলেন, ওই জায়গায় অবৈধ দখলদারিত্বের বিষয়ে তিনি শুনেছেন এবং তা উচ্ছেদকল্পে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দিয়েছেন। অতিদ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে। লিজ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা সবাই অবৈধ দখলদার। সরকারি সম্পত্তি লিজ দেয়ার কোন এখতিয়ার আমাদের নেই। মূলত এগুলো বনবিভাগের সম্পত্তি। এসব বিষয় নিয়ে বনবিভাগ মামলাও করেছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফিন জানান, বনবিভাগের জায়গা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বনবিভাগের। তাদের যদি কোন সহযোগিতা লাগে, উচ্ছেদের ক্ষেত্রে বা অবৈধ দখলদারদের তাড়ানোর ক্ষেত্রে, সেক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট