চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাউজান আ. লীগের সম্মেলনে মোশাররফ

প্রধানমন্ত্রী যুবকদের কর্মসংস্থানে ১শ অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছেন

দেশে বিএনপি জামাতের কোন রাজনীতি নেই : তথ্যমন্ত্রী

২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:২০ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরো এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য ১শটি অর্থনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করেছেন সারা বাংলাদেশে। যেখানে ১ কোটি যুবকের কর্মসংস্থান হবে। তিনি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন। রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দার

চৌধুরী বাবুল, এমপি পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী।

সম্মেলন উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাবের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি বলেন দেশে বিএনপি জামাতের কোন রাজনীতি নাই। বিএনপি কয়দিন পরপর বলে খালেদা জিয়ার কোমরে ব্যাথা, তার অবস্থা বেশি খারাপ। তার মুক্তি চাই। এগুলো নিয়ে তারা মানুষের সামনে হাজির হয়। তিনি আরো বলেন ‘আওয়ামী লীগের অর্জন বাঙালির সমস্ত অর্জনের সাথে মিশে আছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে পেছলে ফেলেছে। বাংলাদেশের অর্থনেতিক প্রবৃত্তির হার এখন ৮.১ শতাংশ। যেখানে ভারতের ৬ এবং পাকিস্তান ৫ শতাংশের নিচে। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাফল্য গাঁথার নাম। তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘তরুণদের আর চাকুরির পেছনে ছুটতে হবেনা। তাদের জন্য সরকার একটি বাড়ি একটি খামারসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।’ ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেন ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত করছেন। আমরা তার নেতৃত্বে রাউজানকে সুন্দর, সুশৃংখল উপজেলা গড়ার চেষ্টা করছি সবাইকে নিয়ে। উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম বলেন, নবাব সিরাজদৌলা, বৃটিশ শাসন, পাকিস্তান পর্যন্ত কখনোই বাঙালি স্বাধীন ছিলনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এতে বক্তব্য দেন আলহাজ দিদারুল আলম, কাজী মো. ইকবাল, বশির উদ্দিন খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, শাহা আলম চৌধুরী, শ্যামল কুমার পালিত, কামাল উদ্দিন, ভূপেশ বড়ুয়া, সরোয়ার্দী সিকদার, নুরুল আবছার মিয়া, ইরফান আহমদ চৌধুরী, কামরুল ইসলাম বাহাদুর, স্বপন দাশগুপ্ত, এডভোকেট সমীর দাশগুপ্ত, এডভোকেট দীপক কান্তি দত্ত, জানে আলম জামাল, জানে আলম জনি, নবনির্বাচিত অর্থ সম্পাদক নাঈম খান, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম চৌধুরী শাহাজান, জাফর আহমদ, শাহাজান ইকবাল, ইফতেখার উদ্দিন দিলু, লায়ন সাহাবুদ্দিন আরিফ, আব্বাস উদ্দিন আহম্মদ, বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, আবদুর রহমান চৌধুরী, সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা, সুকুমার বড়ুয়া, রোকন উদ্দিন, তসলিম উদ্দিন চৌধুরী, প্রিয়তোষ চৌধুরী, মফজল হোসেন, মোজাফফর আহমদ, আহসান হাবিব চৌধুরী হাসান, দোস্ত মোহাম্মদ খান, সুমন দে, আবদুস ছালাম, কাউন্সিলর এডভোকেট দিলীপ কুমার চৌধুরী, আলহাজ নুরুল আমিন, মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী, রুনু ভট্টাচার্য্য, আবদুল লতিফ, দুলাল কান্তি বড়–য়া, নুরুন্নবী, সারজু মোহাম্মদ নাছের। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন, কবুতর উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এরপর উদ্বোধনী সংগীত, দেশাত্মবোধক নৃত্যে পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। এতে কোরআন তেলোয়াত করেন হাফেজ মাওলানা বোরহান উদ্দিন, গীতাপাঠ করেন এডভোকেট সমীর দাশগুপ্ত। ত্রিপটক পাঠ করেন সুমন কল্যাণ বড়–য়া। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন সালসাবিল করিম চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বাণী পাঠ করেন সৈয়দা রেহেনা আফরোজ। সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীমের বাণী পাঠ করেন নাজমা রহমান রুহি। অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ, ডা. শেখ শফিউল আজম, দিলোয়ারা ইউসুফ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন শাহ, গিয়াস উদ্দিন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, ইউনুছ গণি চৌধুরী, এডভোকেট ভবতোষ নাথ, এডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত, এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী, রাশেদুল আলম, সেলিম উদ্দিন, জাফর আহমদ, অধ্যাপক ফখরুল ইসলাম, আলাউদ্দিন ছাবেরী, বখতেয়ার সাঈদ ইরান, আবু তৈয়ব, তানবীর হোসেন তপু, রেজাউল করিম রেজা। উল্লেখ্য যে, ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯ ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী যোগদান করায় এ সম্মেলনটি বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়। দুপুর পৌণে ১টা থেকে কানায় কানায় পূর্ণ হতে থাকে পুরো সম্মেলনস্থল। অনেকে বাদ্য বাজনা, মিছিল, ব্যানার, ফেস্টুনসহ সম্মেলনস্থলে যোগদান করেন। সম্মেলন উপলক্ষে পুরো রাউজান কলেজ মাঠ, মুন্সিরঘাটা ও আশপাশের এলাকা পরিণত হয় উৎসবের আমেজে।

প্রসঙ্গত, ৭ বছর পর রাউজান আওয়ামী লীগের এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ গত ২০১২ সালে দলটির সম্মেলন তথা কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২৮ বছর পর নতুন সভাপতি ও ২২ বছর পর নতুন সাধারণ সম্পাদক পেল রাউজান আওয়ামী লীগ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট