টেকনাফে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অস্ত্র, মাদক, হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় পলাতক ২ রোহিঙ্গাসহ ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ভোরে উপজেলার বাহারছড়া পাহাড়ি এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধ’র এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছে, বালুখালী ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফজল আহমদের পুত্র মো. জামিল (২০), একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নবী হোসেনের পুত্র মো. আসমত উল্লাহ (২১) ও টেকনাফের বাহারছড়া নতুনপাড়া এলাকার মৃত মো. আলীর পুত্র মো. রফিক (২৪)। এ ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানার এএসআই হাবিব উল্লাহ, কনস্টেবল রাকিবুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেন আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এলজি, ৬ রাউন্ড তাজা গুলি, ৮ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘১৮ সেপ্টেম্বর রাতে হত্যা, অস্ত্র ও মাদক মামলায় জড়িত থাকা এবং বহু মামলার পলাতক ৩ জন পলাতক আসামিকে আটক করা হয়। এরপর তাদের স্বীকারোক্তি মতে পরদিন (বৃহস্পতিবার) ভোররাতে বাহারছড়া শামলাপুর ঢালা এলাকায় জঙ্গলের ভিতর থেকে অস্ত্র ও ডাকাত দলের চোরাই করা পণ্য উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওঁৎপেতে থাকা ডাকাতের সহযোগী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি

ছুঁড়তে থাকে। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। এতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সু- কৌশলে পালিয়ে যায়। গোলাগুলির ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল থেকে আগে আটক হওয়া ৩ সন্ত্রাসীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে আনা হয়। দায়িত্বরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হবে’।