চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে সর্প দংশন সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

‘সর্প দংশনে ওঝা নয় হাসপাতালেই চিকিৎসা হয়’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ২য় আন্তর্জাতিক সর্প দংশন সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ‘সর্পদংশন সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার’ গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ এর ৩য় তলার লেকচার গ্যালারীতে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এ এস এম মোস্তাক আহমেদ এর সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনারে আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শেখ হাসান মামুন। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এস এম মোরশেদ হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. কুতুব উদ্দিন, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নুরুল হক, পরিচালক (মেডিকেল এফেয়ার্স) প্রফেসর ডা. আবদুল ওয়াহিদ আল মামুন, মা ও শিশু মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অসীম বড়–য়া প্রমুখ।
এতে বক্তারা বলেন, সকলের সর্প দংশন বিষয়ে সঠিক ধারণা ও সচেতনতা রাখা দরকার। কেননা সর্প দংশন নিয়ে অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে। যেমন- ওঝা ডেকে সর্প দংশন বিষয়ক চিকিৎসা করা হয় কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ওঝা কখনো দংশিত ব্যক্তির শরীর থেকে বিষ নামাতে পারে না। তাছাড়া শক্ত গিট বেধে দিয়ে বীন বাজিয়ে যে ওঝা কর্তৃক বিষমুক্ত করার চেষ্টা করা এতে করে দংশিত ব্যক্তি বিষমুক্ত ত হয়ই না বরং সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে অতি দ্রুত মৃত্যুমুখে পতিত হয়। সাপকে উত্যক্ত করলে এবং সাপ দেখে স্থির না থেকে নড়াচড়া করলে সাপ নিরুপায় হয়ে দংশন করে। এছাড়া উল্লেখ্য, ঘুমানোর স্থানটিতে যেন সাপের খাবার যেমন- ইঁদুর, ঘাস ফড়িং, ব্যাঙ প্রভৃতি না থাকে সে ব্যাপারে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত এবং সবাইকে পারতপক্ষে মেঝেতে না ঘুমিয়ে খাটের উপরে মশারী টেনে ঘুমানো উচিত। এতে সর্প দংশন আশংকা থেকে অনেকটা নিরাপদ থাকা যায়। তদুপরি বাংলাদেশের সব ধরনের সর্প বেশিরভাগ বিষাক্ত প্রকৃতির নয়। বিষাক্ত প্রকৃতির সাপ থেকে থাকলেও ক্ষুধার্ত না থাকা সর্পগুলো কিন্তু বিষ ঢেলে দিতে সক্ষম নয় বিধায় দংশিত ব্যক্তি দ্রুত বিষ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হবার আশংকা অনেক কম থাকে। তবে এ ব্যাপারে সঠিক সময়ে হাসপাতাল কিংবা ভালো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া বাঞ্চনীয় কোন ওঝা বৈদ্য কিন্তু সর্প দংশনের চিকিৎসা করতে অপারগ। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অতি দ্রুত নিকটস্থ উপজেলা, জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স- হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার মধ্য দিয়ে সর্প দংশনের বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে দংশিত ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভবপর হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের মেডিকেল কলেজের সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপকবৃন্দসহ সর্বস্তরের ডাক্তার, কর্মকর্তা ও মা ও শিশু মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট