চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পটিয়া শুক্রবারের প্রতিবেদন

প্রতিবন্ধী সন্জয় বড়–য়া বিভিন্ন কন্ঠে গান করে সংসার চালায়

হারুনুর রশিদ ছিদ্দিকী, পটিয়া

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:১৭ পূর্বাহ্ণ

পটিয়া উপজেলার উনাইনপুরা গ্রামের প্রতিবন্ধী সন্জয় বড়–য়া মুদির ব্যবসাসহ বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পীর একক ও দ্বৈত কন্ঠে গান করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছে। সে ওই গ্রামের ঘড়ি মেকানিক সুজিত বড়–য়ার সন্তান। সে ১৯৮৩ সালে ১২ বছর বয়সে তার বাড়িতে আম গাছে ওঠে আম পাড়তে গিয়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে গিয়ে হাত পা ভেঙে গিয়ে পঙ্গু হয়ে যায়। পরে চকরিয়ার ডুলাহাজারা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরও ভালো হয়নি। বর্তমানে দুই হাতের নিচে স্ট্রেচার দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। ২০০৭ সালে সে যৌতুক ছাড়া বিবি বড়–য়া নামে এক মহিলাকে বিয়ে করে। বর্তমানে তার ২ ছেলে সন্তান রয়েছে। ১ ছেলে স¦প্ন বড়–য়া চতুর্থ শ্রেণি ও সম্পদ বড়–য়া প্রথম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। বর্তমানে তার বাড়ির সামনে একটি মুদির দোকান দিয়ে আয় রোজগার করে। এতে তার মাসে ৮/১০ হাজার টাকা আয় হয়। তার বউ ভেল্লাপাড়া এলাকায় একটি পোশাক গার্মেন্টসে চাকরি করে ৮/৯ হাজার টাকা পায়। তাছাড়া সে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাবিনা ইয়াছমিন এন্ড্রু কিশোর কুমার, শেফালী ঘোষ, কল্যানী ঘোষসহ বিভিন্ন শিল্পীর কন্ঠে আধুনিক গান, আঞ্চলিক করে থাকে। বৈশাখী টিভিতে সেরা ১৬ অনুষ্ঠানে গান করে ১২ জনের স্থান দখল করে। তাছাড়াও বাংলা ভিশন ও গান করে। বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী সন্দীপনের সাথে পটিয়া বর্ষবরণ অনুষ্ঠানসহ কক্সবাজার ও বান্দরবানসহ বিভিন্ন জেলায় গান করে দশর্কদের আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রতি অনুষ্ঠানে ২/৩ হাজার টাকা আয় করে। সে আমার গরুর গাড়িতে বৌ সাজিয়ে, বানুরে জি জি সহ বিভিন্ন পল্লিগীতি, আঞ্চলিক ভাটিয়ালী, গান করে থাকে। তাছাড়া সে সাবিনা ইয়াছমিন ও রুনা লায়লার একক কন্ঠে গান করে দশকের মন জয় করে।সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলে সেই এক জন দেশের নাম করা শিল্পী হতে পারবে বলে সে আশা প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট