চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আলোকিত মানুষ গড়বে চসিক

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র চসিক পরিচালনা করছে ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:১৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত করতে শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে চসিক। এই শহরে চসিক ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। দক্ষিণ এশিয়ায় আর কোন সিটি কর্পোরেশন শিক্ষাখাতে এরকম ভূমিকা পালন করে না। শিক্ষার মান আরো বাড়াতে-শিক্ষার্থীদের মাঝে লেখাপড়ায় প্রতিযোগিতা আনতে নানামুখী বৃত্তি এবং প্রণোদনার উদ্যোগ নেয়া হবে। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকালে চসিক’র কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। চসিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যরক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির ৪ বছরপূর্তি উপলক্ষে শিক্ষা বিভাগ এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সিটি মেয়র বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলবো, চসিক’র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়াশোনার মান আগের চেয়ে ভালো। সামনের দিনগুলোতে মান আরও বাড়বে। শুধু ভালো ফল নয়, আলোকিত, সমৃদ্ধ উন্নত মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলাই চসিকের লক্ষ্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভারপ্রাপ্তমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছি। যদিও অনেকে না বুঝে উদ্দেশ্যমূলক সমালোচনা করে। সবাইকে উদার, নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে কাজ পর্যবেক্ষণ করার অনুরোধ জানান মেয়র। তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর চসিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯০টিত

উন্নীত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান না থাকলে নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সন্তানরা শিক্ষার সুযোগ পাওয়া নিয়ে সন্দেহ-সংশয় থেকে যেত। আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় শিক্ষাখাতে চসিককে ৪৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হতো। নানা পরিকল্পনার কারণে এটা কমিয়ে এখন ভর্তুকি দিতে হয় ৩৬ কোটি টাকা।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য রক্ষা স্ট্যান্ডিং সভাপতি নাজমুল হক ডিউক, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, হারুর অর রশিদ, মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, হাবিবুল হক, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর কাশপিয়া নাহরিন, ফারহানা জাবেদসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, চসিকের পরিচালনায় ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৩টি কলেজ, ১টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ইনস্টিটিউট, ৫টি কম্পিউটার ক্যাম্পাস, ৭টি কিন্ডারগার্টেন, ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫০টি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, ৯টি মসজিদ, ৪টি সংস্কৃত টোল, ১টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ১টি গণশিক্ষা কেন্দ্র, ১টি থিয়েটার ইনস্টিটিউট ও ১টি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে।

চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কলেজে ২০ হাজার ৩৩০ জন, মাধ্যমিকে ৩৭ হাজার ৭০০ জন, প্রাথমিক ও কেজিতে ৪ হাজার ৯৫০ জন পড়াশোনা করছে। ১ হাজার ৮৭ জন স্থায়ী ও ৬৪১ জন অস্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে নতুন ও ঊর্ধ্বমুখী ভবন সম্প্রসারণ ও উন্নয়নকাজ চলছে ২০টিতে, মেরামত কাজ চলছে ৮টিতে। জাইকার অর্থায়নে নতুন ভবন নির্মাণকাজ চলছে ১০টিতে। চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে ১০টিতে নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে, কাজ চলছে ৩টিতে।

তিনি জানান, আন্তঃস্কুল ও কলেজ ক্রীড়া, বিতর্ক, রচনা, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, উপস্থিত বক্তৃতা, সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোাগিতা, শিশু ও অভিভাবক সমাবেশ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর চসিকের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক প্রবন্ধ-নিবন্ধের স্মারক প্রকাশ করা হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট