চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাঙামাটিতে ভূমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ, বিরাজ করছে উত্তেজনা

পূর্বকোণ প্রতিনিধি হ রাঙামাটি

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:০২ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটি জেলা সদরস্থ কলেজ গেট এলাকার হোল্ডিং নং ১২ এবং ১৭১ নং দাগের ৫৮ শতাংশ জায়গার মালিকানা নিয়ে বহু বছর ধরে চলে আসছে দুই প্রভাযশালী পরিবারের পক্ষের মামলা মোকদ্দমা। উভয় পক্ষের এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের পর এলাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনা। এব্যাপারে গত সোমবার ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন একপক্ষ প্রয়াত ডা. এ কে দেওয়ানের পুত্র অদ্বিত দেওয়ান। এর আগে গত শুক্রবার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক যুগ্ম জজ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক এডভোকেট দীপেন দেওয়ান। গতকাল সোমবার সকালে শহরের কলেজ গেট এলাকাস্থ মোটেল জজ এ সংবাদ সম্মেলন করেন ডা. এ কে দেওয়ানের পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডা. এ কে দেওয়ানের মেঝ মেয়ের জামাই অনিমেষ চাকমা, মেঝ মেয়ে অপারাজিতা দেওয়ান, ডা. এ কে দেওয়ানের ভাইয়ের ছেলে সুমিত দেওয়ান ও সৌরভ দেওয়ান, মিতুল তালুকদার, প্রীতম রায় প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. এ কে দেওয়ানের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান তার কনিষ্ঠ পুত্র অদ্বিত দেওয়ান। তিনি এতে জানান, বর্ণিত জমিটি ১৯৬৯/৭০ সালে মিস কেস নং ৫৭(ডি) এর বরাতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ডা. এ কে দেওয়ানের নামে বন্দোবস্তি প্রদান করেন। এরপর প্রতিপক্ষ যে কয়বার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে প্রতিবারই রায় ডা. এ কে দেওয়ানের পক্ষে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিক নিকট অদ্বিত দেওয়ান সকল মামলার রায়ের সিদ্ধান্ত সমূহ কপি উপস্থাপন করেন।
তিনি এতে আরো জানান, ‘বর্তমানে সুবিমল দেওয়ানের পুত্র কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পদক দীপেন দেওয়ান বিগত এক বছর যাবত এ জমিতে ডা. এ কে দেওয়ান কোন প্রকার দোকান বা ঘর নির্মাণ করলে তা তার সন্ত্রাসী জনবল দিয়ে ভেঙে ফেলে। এ নিয়ে থানায় মামলাও করা হয়েছিলো ডা. এ কে দেওয়ানের পরিবারের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে এ মামলায় বর্তমানে দীপেন দেওয়ান জামিনে রয়েছে। থানা থেকে ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে কোর্ট চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। উভয়ের এ বিরোধিতার কারণে এবং দীপেন দেওয়ার ভুল তথ্য কোর্টে দিয়ে বিভ্রান্ত করে কোর্টে ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করে। অথচ প্রতিবারেই শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোন কারণ না থাকা সত্বেও, শুধুমাত্র চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে আমাদের নির্মাণ কাজে বার বার বাধা প্রদান করেন। এ জমিতে যদি কোন স্থাপনা করতে চাই তাহলে তাকে চাঁদা দিতে হবে বলে তিনি আমাদের কাছে বারবার জানান।’ এব্যাপারে তিনি দীপেন দেওয়ান ও তার গংদের সকল সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে সাংবাদিক ও প্রশাসনের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট