চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

এক্সপ্রেসওয়ে : নিত্যযানজটে পথচারী-এলাকাবাসী আতংকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৫৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে দেয়ার লক্ষ্যে ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এক্সপ্রেসওয়েটি লালখান বাজার থেকে শুরু হয়ে চলে যাবে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত। ইতিমধ্যে নগরীর পতেঙ্গা এলাকার কাটগড় মোড়ে দৃশ্যমান হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ের বেশ কয়েকটি পিলার। নির্মাণ কাজের সুবিধার্থে সড়কের মাঝে দেয়া হয়েছে টিনের ঘেরাও। এতে সড়ক সংকুচিত হয়ে প্রতিনিয়ত ব্যাঘাত ঘটছে যান চলাচলে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। যানজটের কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ নিয়ে সাধারণ পথচারীদের পাশাপাশি আতঙ্কের কথা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

নগরীর ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের সিম্যান্স হোস্টেলের সামনে গিয়ে দেখা যায় টিনের বেড়া দিয়ে চলছে নির্মাণ কাজ। নগরীর দুটি ইপিজেডের শ্রমিকদের পাশাপাশি সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে বন্দরের পণ্য আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহার হওয়া সহস্রাধিক ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও প্রাইমমুভার। শুধু তাই নয়, এই সড়কটি ব্যবহার করে প্রতিদিন চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে যাতায়ত করেন যাত্রীরা। এদিকে নির্মাণ কাজের সুবিধার্থে সড়কের মাঝে টিনের ঘেরা দেয়ায় সড়ক সংকুচিত হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটের হাত থেকে বাঁচতে বহু গাড়ি বেছে নেয় উল্টো পথ। এতে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আর এ যানজটের কারণে এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

তৌহিদ নামে স্থানীয় একব্যক্তি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে সিম্যান্স হোস্টেল মোড়ে মূল সড়কের মাঝে টিনের বেড়া দিয়ে দেয়া হয়েছে। এর কারণে রাস্তা অনেক সংকুচিত হয়ে গেছে। যদিও বেড়া দেয়ার আগে রাস্তা বড় করা হয়েছে। তবে বর্ধিত রাস্তার বেশিরভাগ অংশে বিদ্যুৎতের খুঁটি থাকায় সেখান দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। ফলে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অসহনীয় যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে আমাদের। শুনেছি এই কাজ শেষ হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। তাই এখন যানজটের আতঙ্কে দিন কাটছে আমাদের। জানিনা এই এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের যানজট কতটুকু দূর করবে, তবে এটা জানি এটা নির্মাণ শেষ না পর্যন্ত আমাদের কষ্টের কোন শেষ থাকবে না’।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন পূর্বকোণকে বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হতে না হতেই যানজটে নাকাল সময় পাড় করছে স্থানীয়রা। নির্মাণকাজের সুবিধার্থে সড়কের মাঝে তারা যে টিনের ঘেরাও দিয়েছে সে জন্যই প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ, বিকল্প কোন পথ না থাকায় সব গাড়িগুলোকে বাধ্য হয়ে এ সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে’। কাজ পুরোদমে শুরু হলে মানুষের ভোগান্তি আরো বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট