চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

টাস্কফোর্স ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বিভাগীয় কমিশনার

মাদকসহ চোরাচালান রোধে টাস্কফোর্সের কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:০২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, মাদকসহ চোরাচালান, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ছিনতাই, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি ও অন্যান্য অপরাধ রোধে সকল সংস্থার কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। মাদক পাচারকারী ও চোরাচালানীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সীমান্তবর্তী এলাকা ও অন্যান্য রুট দিয়ে ইয়াবার পাশাপাশি জ্বালানী তেল পাচার বন্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান দিনে বা রাতে পরিচালনা করা যাবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভা, বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণের সাথে সমন্বয় সভা, জেলা প্রশাসকগনের সাথে সমন্বয় সভা ও বিভাগীয় রাজস্ব সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস পৃথক সভাগুলোর আয়োজন করেন। বিগত সভার সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতি তুলে ধরেন বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাসান ও মো. মোজাম্মেল হক। বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, বন্দর, সিডিএ, ওয়াসা, গণপূর্ত, এলজিইডি, সওজ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সমাজসেবা,বন, প্রাণী সম্পদ, মৎস্য, সমবায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসসহ প্রতিটি সরকারী দপ্তরের কার্যক্রম দৃশ্যমান করতে হলে প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে হবে। যেখানে সরকারের এক টাকার সম্পৃক্ততা আছে, সে টাকা কি হয়েছে, কোথায় যাচ্ছে, সঠিক খাতে ব্যয় হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং এর দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নিতে হবে। দেশের উন্নয়নে সরকারের যে সকল প্রকল্প চলমান রয়েছে সে গুলোর কাজ যাতে সন্তোষজনক হয় সে দিকে নজরদারী বৃদ্ধি করতে হবে। সকলে সততা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করলে দেশ আরো অনেকদুর এগিয়ে যাবে। সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, বন্দর, ওয়াসা, এলজিইডি, সওজ এবং অন্যান্য প্রতিষ্টানের কার্যক্রম আরো গতিশীলকরনসহ লালখান বাজার টু এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন বিভাগীয় কমিশনার। একইসাথে চট্টগ্রাম নগরীতে একটি স্মৃতিশোধ নির্মাণ ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ফ্ল্যাট বা আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সিটি মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সীমান্তবর্র্তী এলাকাগুলোতে বিজিবিসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীকে আরো নজরদারী বৃদ্ধি করতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পৃথক সভাগুলোতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, বিভাগীয় স্থানীয় সরকার পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, বন্দরের সদস্য (এডমিন এন্ড প্ল্যানিং) মো. জাফর আলম, ডিজিএফআই’র পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ ভূইয়া, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. হাবিবুর রহমান, বিজিবি’র চট্টগ্রাম রিজিয়নের ডেপুটি কমান্ডার কর্র্নেল মতিউর রহমান, চট্টগ্রাম চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহাবুবুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী অনুপম বড়–য়া, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন (চট্টগ্রাম), আবুল ফজল মীর (কুমিল্লা), তন্ময় দাস ( নোয়াখালী) প্রমুখ।। পৃথক সভাগুলোতে বিভাগের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কর্মরত পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট