চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নকল ওষুধ তৈরির কারখানায় অভিযান, ওষুধ জব্দসহ গ্রেপ্তার ৪

রাউজান সংবাদদাতা

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ৯:১৮ অপরাহ্ণ

রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ায় পথেরহাটে যৌনসহ সর্বরোগের ইন্ডিয়ান ওষুধের নকল হারবাল ওষুধ তৈরির কারখানা ও শো-রুমে আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিনভর অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। এ সময় প্রায় দুই কোটি টাকার নকল ওষুধ জব্দ ও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত র‌্যাব সেখানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

চট্টগ্রাম র‌্যাব ৭-এর চাঁন্দগাও থানা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, পথেরহাটের আমীর মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় দেশ হারবাল নামের একটি নকল হারবাল তৈরির বিশাল নকল কারখানা-গোডাউন, শো-রুমে সোমবার সকাল ১১টা থেকে র‌্যাব ৭-এর সদস্যরা অভিযান চালায়। এখনো চলছে অভিযান।

নকল কারখানা ও গোডাউনে কমপক্ষে দুই কোটি টাকার নকল ওষুধের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো আমরা জব্দ করেছি। এ ঘটনায় নকল ওষুধ তৈরিতে জড়িত চারজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মেহেদী হাসান আরো জানান, দেশ হারবাল নামের এ ভুয়া প্রতিষ্ঠানটি যৌনসহ বিভিন্ন নকল ওষুধ তৈরি করে ইন্ডিয়ান ওষুধ বলে নানা মোড়ক লাগায়। ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন টিভিতে প্রচার ও নানাভাবে প্রচার করে। মোবাইল ও অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে রোগীদের পাঠিয়ে প্রতারণা করে।

তিনি জানান, আগে তারা কলিকাতা হারবালসহ বিভিন্ন নামে এ ভুয়া নকল ওষুধ বিক্রি করতো। এখন দেশ হারবালের নামে এ প্রতারণা চালাচ্ছে।

তিনি জানান, চলতি এপ্রিল মাসে দেশ হারবালের ব্রাহ্মণ হাটের পাশে কারখানা থেকে বিপুল সংখ্যক নকল ওষুধ জব্দ করা হয়েছিল। এবার নকল ওষুধের পরিমাণ আরো বেশি পাওয়া গেছে।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বাগোয়ান ইউনিনের পাঁচখাইন গ্রামের আলী মদনের ছেলে আবদুল হাকিম নামের এক মাদকসেবী বহু বছর ধরে দেশ হারবাল, কলিকাতা হারবালসহ বিভিন্ন নামে ইন্ডিয়ান হারবাল ওষুধ নাম দিয়ে ভূয়া, নকল ওষুধ তৈরির কারখানা করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। সে ভারতীয় চ্যানেলসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন চ্যানেল চটকধার বিজ্ঞাপন দিয়ে রোগীদের আকর্ষণ করে কুরিয়ার সার্ভিসসহ নানাভাবে ওইসব ওষুধ পাঠিয়ে মোটা অংকের হাতিয়ে নিচ্ছে। আবদুল হাকিম এসব নকল ওষুধ বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। সে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করে এসব কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন সময় তার এসব নকল কারখানায় র‌্যাব, ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালালেও সে পুনরায় তার ওই কর্মকান্ড শুরু করে। এর আগে আবদুল হাকিম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও সে পুনরায় আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসে। পুনরায় তার ভূয়া ওষুধ কারখানা এবং সাম্রাজ্য গড়ে তোলে।

পূর্বকোণ/জাহেদ-রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট