চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ফ্লাইওভার নির্মাণের দুই বছর পরও সরেনি গ্যান্ট্রি ক্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:১৪ পূর্বাহ্ণ

আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। কিন্তু ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যবহার করা ক্রেন (গ্যান্ট্রি ক্রেন) এখনো সরানো হয়নি মুরাদপুর থেকে। রাস্তার উভয় পাশে বিশাল অংশ দখল করে আছে ক্রেনটি। ফলে একদিকে যেমন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে রয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এরপরও ক্রেনটি সরানোর কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। তবে দুই-তিন মাসের মধ্যে ক্রেনটি সরানো হবে বলে জানিয়েছেন আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার বাস্তবায়নকারী সংস্থা ম্যাক্স প্রজেক্ট ম্যানেজার মনির হোসেন। এছাড়া, ফ্লাইওভারের শেষ অংশে রাস্তার একপাশে রয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। রাস্তার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর কথা থাকলেও এখনো তা সরানো হয়নি। একইভাবে রাস্তাটিও আর সম্প্রসারণ করা হয়নি। ফ্লাইওভারটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা ২০১৭ সালের জুনে। এরপরও ক্রেনটি কেন সরানো হয়নি জানতে চাইলে ম্যাক্স প্রজেক্ট ম্যানেজার মনির হোসেন বলেন, আমরা ক্রেনটি মুরাদপুর অংশ থেকে সরানোর চেষ্টা করছি। দুই-তিন মাসের মধ্যে ক্রেনটি সরানো হবে। সেখান থেকে সরিয়ে আসলে অন্য কোথাও রাখার জায়গা নেই। লালখান বাজার থেকে বিমান
। ৯ম পৃষ্ঠার ৪র্থ ক.

বন্দর পর্যন্ত এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে তৈরিতে ক্রেনটি প্রয়োজন হবে, তাই দুই-তিন মাসের মধ্যে আমরা ক্রেনটি ওখানে নিয়ে যাবো। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর জানান, আমরা ম্যাক্সকে একাধিকবার বলেছি ক্রেনটি সরানোর জন্য, কিন্তু তারা তা এখনো সরাইনি। এছাড়া, আমরা প্রায় ছয় মাস আগে সড়কটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এখন এসব সড়ক থেকে সরানোর দায়িত্ব তাদের। বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো ও রাস্তা সম্প্রসারণের ব্যাপারে জানতে চাইলে মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা পিডিবিকে একাধিকবার বলেছি বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরানোর জন্য। তারা তা সরাবে বলে এখনো সরাইনি। এছাড়া, রাস্তা সম্প্রসারণ ও ড্রেনের কাজ এখন জলাবদ্ধতা প্রকল্পে রয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট