চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভাস্কর্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে ১ নম্বর রুটের এক বাস চালককে আটক করেছেন বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক। অভিযুক্ত চালকের নাম মো. আব্বাস। তার বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানুদ্দীন উপজেলার মূলাপত্তন গ্রামে।
কাজী দিলশাদ জাহান নামের ওই ছাত্রীটির অভিযোগ ছিলো, তিনি (১৩ সেপ্টেম্বর) টিউশনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চকবাজার থেকে ১ নম্বর রুটের নাম্বার বাসটিতে উঠেন। বাসে উঠে অন্য কোন সিট না পেয়ে তিনি চালকের পাশের ইঞ্জিন বক্সের উপর বসেন।
তিনি অভিযোগ করেন, বসার পর থেকেই চালক তার সাথে অশালীন আচরণ শুরু করে। চালক কয়েকবার ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রীটির গায়ে হাত দেয়। ছাত্রীটি এর প্রতিবাদ করে সামনে এগিয়ে বসলেও চালক তার গায়ে আবারও অবাঞ্ছিতভাবে হাত দেয়।
এরপর ওই ছাত্রী সেখান থেকে পাশের সিটে সরে বসলে চালক তার দিকে অশালীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বক্র হাসি দেয়। শুধু তাই নয়, এ ছাত্রী যে সিটে বসেছিলেন চালক সেখানে হাত বুলাতে থাকে। এমন বর্ণনা দিয়ে বিশ্বিবদ্যালয়ের ওই ছাত্রী বিআরটিএ, চট্টগ্রাম এর ফেসবুক পেইজ Magistrates of BRTA Chattogram এ অভিযোগ করেন এবং এ ঘটনার যথাযথ প্রতিকার কামনা করেন। একইসাথে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চট্টগ্রামের একটি বহুল পরিচিত গ্রুপে একটি পাবলিক পোস্ট দেন।
ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন, পাবলিক বাসে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর এরকম হেনস্তার শিকার হওয়া খুবই দুঃখজনক। এ পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি একাই অভিযান চালিয়ে বাস মালিকের সহায়তায় অভিযুক্ত চালককে আটক করেন।
আটকের পর ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক তিনি হেনস্তার শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে বললে তিনি তার মা ও বড় ভাইকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। অভিযোগকারী ছাত্রীর বক্তব্য ও অভিযুক্তের বক্তব্য থেকে ছাত্রী হেনস্তার প্রমাণ মেলে। কিন্তু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ২ জন সাক্ষীকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির করতে না পারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্ত চালককে নিজে শাস্তি না দিয়ে নিকটবর্তী চকবাজার থানায় হস্তান্তর করে থানাকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশনা দেন।
পরবর্তীতে হেনস্তার শিকার ছাত্রীটির কাছ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
পূর্বকোণ/আফছার