সন্দ্বীপ বাসীর আতঙ্ক ও জলদস্যু বাহিনীর প্রধান মোক্তাদের মওলা সেলিম এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ী নুর নবী। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জলদস্যু মোক্তাদের মওলার অত্যাচারে সন্দ্বীপের লোকজন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ শরীফুল হক এবং ওই থানার এস.আই হেলাল এ জলদস্যু বাহিনীর সাথে জড়িত থাকার কারণে এখনও পর্যন্ত এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে তারা। তিনি আরো বলেন, গত ২৪ আগস্ট রাত ১১টার সময় সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে মোক্তাদের মওলা সেলিম বাহিনী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আমার দশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার মাছ ও এগারো লাখ টাকার জালসহ সর্বমোট একুশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ বিষয়ে গত ২৮ আগস্ট এ চক্রের একাধিক আসামির বিরুদ্ধে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় আমি বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করি। তবে থানা ডাকাতি মামলার পরিবর্তে নিয়েছে চুরি ও সামান্য মারামারির মামলা। এজাহারে মোক্তাদের মওলা সেলিমসহ ওই বাহিনীর আরো ৩০/৪০ জন জলদস্যু রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ জলদস্যু বাহিনীর ভয়ে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যায়না। তারা প্রতিনিয়ত সাগরে ডাকাতি করে মাছ ও ট্রলার লুট করে নিয়ে যায়। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ স্বাক্ষী দিতে সাহস পায়না। তাই তাদের বিচারও হচ্ছে না। এর আগে এ বাহিনীর বিরুদ্ধে কিছু লোক স্বাক্ষী দেয়ায় তাদেরকে পঙ্গু করে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার , সীতাকু- সার্কেল ও র্যাব-৭ অবগত থাকলেও যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়াতে আমি মামলা করে ভয়ের মধ্যে আছি।