অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ দিকে শাহপরীরদ্বীপ সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা ভেঙে খান খান হয়ে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানে এখন অনেকের গলা ছুঁই ছুঁই পানি। যার কারণে হারিয়াখালী দক্ষিণের নৌকা ঘাট পর্যন্ত মানুষ পৌঁছতে পারছেন না। দ্বীপের মানুষেরা এই চরম দুর্দশা দ্রুত লাঘব করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যানের সুনজর কামনা করেছেন।

সরেজমিন হারিয়াখালী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, টেকনাফ থেকে আসা শাহপরীরদ্বীপমুখী অসংখ্য মানুষ রাস্তার দুরবস্থা দেখে শাহপরীরদ্বীপ না গিয়ে উল্টো পথে টেকনাফ ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে অনেককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁতরিয়ে বা গলা ছুঁই পানিতে হেঁটে ভাঙা অংশ পার হতে দেখা গেছে।

শাহপরীরদ্বীপ উত্তরপাড়ার গৃহবধূ আসমা খাতুন বলেন, ‘বিপদসংকুল রাস্তা পুরুষরা কষ্ট করে পার হতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের মত মহিলাদের এ কঠিন পথ পার হওয়া সম্ভব নয়। তাই আমি আজ আর শাহপরীরদ্বীপ না গিয়ে টেকনাফে মেয়ের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি’।

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা জসিম মাহমুদ বলেন, ‘টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ সড়ক যোগাযোগ এমনিতেই গত সাত বছর ধরে বিচ্ছিন্ন। তারপরও হারিয়াখালী খাল পর্যন্ত সিএনজি ট্যাক্সি করে এসে লোকজন ঘাটে পৌঁছে নৌকা বা স্পিডবোট নিয়ে যাতায়াত করত এবং মালামাল আনা নেয়া করত। কিন্তু অবিরাম বৃষ্টিপাতের পর ঘাটে আসার আরো দেড় কিলোমিটার উত্তরে সড়কের একটি অংশ ভেঙে যাওয়ায় সিএনজি ট্যাক্সি বা গাড়ি নৌকা ঘাট পর্যন্ত আসতে পারছে না। যার কারণে মানুষের কষ্ট এবং ভোগান্তি চরমে উঠেছে। এতদিন দুঃখ-কষ্টে যাতায়াত করতে পারলেও ১২ সেপ্টেম্বর থেকে টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে’।