গবেষণায় অনেক বাধা থাকবে, অনেক হতাশা থাকবে। কিন্তু তারপরেও কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এক সময় সেই শ্রম আর সময়ের মূল্য ঠিকই পাওয়া যাবে। বিশ্বের অসাধারণ সব আবিষ্কারের পেছনের গল্পগুলো অনেক কষ্টের আর হতাশার।
এভাবেই নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও বিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনুষ্ঠিত জিনোমিক্স ও সিকুয়েন্সিং বিষয়ক কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘চট্টগ্রামের জন্য ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানী তৈরি’ শীর্ষক বক্তৃতায় সেঁজুতি সাহা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণাগার দুটিতে ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ নারী গবেষক কাজ করছেন। তারা সবাই লড়াই করছেন। তবে আসল লড়াই এখনো শুরু হয়নি। আমাদের বাধা আসবে, বাধার শেষ নেই, কোনো দিন শেষও হবে না। তবে আমাদের আরও তিনগুণ পরিশ্রম করতে হবে। কারণ, আমরা লড়াইটা আগামী প্রজন্মের জন্য করছি।
জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এস এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূলবক্তা ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত বিজ্ঞানী ড. সমীর সাহা।
জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুব হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন টিকাবিজ্ঞানী সেতারুন্নাহার, অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান, ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিনা শারমিন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইয়গেস হুদা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ফারজানা শারমিন, আফরজা আকতার তন্বী ও মোহাব্বত হোসেন প্রমুখ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কর্মশালা যৌথভাবে আয়োজন করে চবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ডিজিজ বায়োলজি এন্ড মলিকুলার এপিডেমিওলজি রিসার্চ গ্রুপ এবং নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং, রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন ল্যাব চিটাগং (এনরিচ)। কর্মশালায় সাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০ জনকে সনদ প্রদান করা হয়।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ