চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পাহাড় ধসে ও ঢলে ভেসে ৩ শিশু নিহত টেকনাফে

নিজস্ব সংবাদদাতা হ টেকনাফ

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:১২ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফে ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের ঘটনায় ২ শিশু এবং ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে ১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পাহাড় ধসের ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। বৃষ্টির পানিতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লানপাড়া এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পল্লানপাড়া গ্রামে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।

পাহাড় ধসের ঘটনায় নিহতরা হচ্ছে টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লানপাড়া গ্রামের রবিউল আলমের ছেলে মেহেদী হাসান (৯) এবং একই এলাকার মোহাম্মদ আলমের শিশু কন্যা আলিফা বেগম (৫)। তাছাড়া ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে নিহত শিশু মোহাম্মদ হারিছ (১০) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পল্লানপাড়া এলাকার আবদুল গফুর প্রকাশ পাবলিসিটি গফুরের ছেলে।
টেকনাফ উপজেলা দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, ‘টেকনাফের পুরান পল্লানপাড়ার মুহাম্মদ আলম ও রবিউল হাসান পাহাড়ের পাদদেশে বাড়ি করে বসবাস করছিলেন। সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ভোরে বাড়ির ওপর অংশে থাকা পাহাড়টি ধসে পড়ে। এতে দুই বাড়ির দুই শিশু মাটি চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় মা-বাবা, ভাই- বোন ও চাচা-চাচীসহ গুরুতর আহত হয়েছেন ১২ জন। আহতরা হলেন পৌরসভার পুরাতন পল্লানপাড়ার আব্দুস সালামের স্ত্রী হালিমা বেগম (৩৪), মেয়ে ইসমত আরা (১৮), মেয়ে কলিমা আক্তার (১৩), আবু শামা ছেলে ফজলুর রহমান (৪০), একই এলাকার মো. লালুর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০), মো. আলমের স্ত্রী তসলিমা আক্তার (৩৩), জাফর আলমের মেয়ে শারমিন আক্তার (৭), আব্দুস সালামের মেয়ে আলিমা আক্তার (১৭)। গুরুতর আহতদের স্থানীয় লোকজন, সিপিপি ভলান্টিয়ার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। গুরুতর আহত জাফর আলমের মেয়ে শারমিন আক্তার (৭) ও আব্দুস সালামের মেয়ে আলিমা আক্তারকে (১৭) উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে’।

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট