চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চমেক হাসপাতালে বায়োমেট্রিক মেশিনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন

‘চেক আউটে’ প্রতীকী প্রতিবাদ !

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:১০ পূর্বাহ্ণ

বায়োমেট্রিক মেশিনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রতীকী প্রতিবাদ পালন করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা। এর আগে বায়োমেট্রিক হাজিরা বয়কট করার ঘোষণা দেন তাঁরা। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এ প্রতীকী প্রতিবাদ পালন করা হয়। তবে যথাসময়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন চিকিৎসকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্বের ঘোষিত এই প্রতীকী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সকালে যথাসময়ে চিকিৎসকরা নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত হলেও বায়োমেট্রিক পদ্ধতির হাজিরা দেয়নি। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে থাকা বায়োমেট্রিক মেশিনের সংযোগ আগের দিন রাত থেকেই বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে বিকেলে কর্মস্থল ত্যাগ করার সময় ‘চেক আউট’ ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে প্রতীকি প্রতিবাদের কর্মসূচি শেষ করা হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ। যদিও বায়োমেট্রিক মেশিনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ’র সভাপতি ডা. মজিবুল হক খান।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর পূর্বকোণকে বলেন, ‘কে বা কারা মঙ্গলবার রাতেই বায়োমেট্রিক মেশিনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলো। সকালে এসে আমরা বিষয়টি দেখতে পাই। এছাড়া মেশিনের ওপরে বিএমএ’র নামে একটি ব্যানার লাগানো ছিল। যাতে করে কেউ হাজিরা দিতে না পারে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের কেউই এই কাজটি করেছেন। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং ছবিসহ লিখিতভাবে জানিয়েছি। যদিও দুপুরের পর থেকে সকল মেশিনের সংযোগ সচল করা হয়েছে বলে জানান তিনি’। জানতে চাইলে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মজিবুল হক খান পূর্বকোণকে বলেন, ‘কোথাও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। আর চিকিৎসকরা কেন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে। আমরা নিজেরাই বায়োমেট্রিক হাজিরার পক্ষে। শুধুমাত্র সম্প্রতি পদোন্নতির বিষয়ে এই প্রতীকী প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বতস্ফুর্তভাবে আমরা প্রতিবাদ করা হচ্ছে’।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সিনিয়র কনসালটেন্ট ও জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে পদোন্নতির বিষয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরার প্রতিবেদন চাওয়া হলে এই ঘোষণা দেন চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা। ওই প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতি প্রার্থীদের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ও বিগত ৬ মাসের প্রতিবেদন ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে প্রেরণের জন্য বলা হয়। যাকে বৈষম্য বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট