চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বহির্নোঙরে ইকুইপমেন্ট নেয়ার জেটি বরাদ্দ দাবি শিপহ্যান্ডলিং অপারেটরদের

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৫৫ পূর্বাহ্ণ

বহির্নোঙরে ইকুইপমেন্ট নেয়ার জেটি বরাদ্দ দাবি জানিয়েছেন শিপহ্যান্ডলিং অপারেটররা। গতকাল বাংলাদেশ শিপহ্যান্ডলিং এন্ড বার্থ অপারেটরস এসোসিয়েশন’র এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানির ৪৮ শতাংশ ট্রেড হয়ে থাকে বহির্নোঙরে। সেটা বড় বড় জাহাজ থেকে খালাস হয় শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের তত্ত্বাবধানে। চাল, গম, ভুট্টা, ডাল, চিনি, সার, সিমেন্ট ক্লিংকার, স্টিল কারখানার কাঁচামাল ইত্যাদি নিয়ে বড় বড় যেসব জাহাজ বিদেশ থেকে আসে তার সবগুলো জেটি পর্যন্ত আসতে পারে না সরাসরি। এসব পণ্যের প্রায় ৭৫ ভাগ বহির্নোঙরে খালাস করা হয়। বড় জাহাজ থেকে পণ্য লাইটারিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট সেখানে নিয়ে যাওয়া এক বিরাট

সমস্যা। লাইটারিং এর জন্য অপরিহার্য গিয়ার , গ্র‌্যাব, পে লোডার, স্কেভেটর ইত্যাদি সেখানে নিতে হয়। কিন্তু এসব লোডিং আনলোডিংয়ের জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা বিরাজ করছে। ইকুইপমেন্ট আনা-নেয়ার জন্য নির্ভর করতে হয় বেসরকারি খাতে ইজারা দেয়া বন্দরের সদরঘাট লাইটারেজ জেটির ওপর। এছাড়া, আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এই জেটিতে সবসময় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস চলে। জেটি খালি হলে বহির্নোঙরগামী লাইটার জাহাজ সরঞ্জামবোঝাই করার সুযোগ পাওয়া যায়। এতে দেখা যায় যে কখনও যন্ত্রপাতি নেয়ার জন্য ৩ দিন থেকে ৪দিন পর্যন্ত অপেক্ষমান থাকতে হয়। আবার একই অবস্থা যন্ত্রপাতি বহির্নোঙর থেকে ফিরিয়ে আনার সময়ও। তাতে শিপহ্যান্ডলিং অপারেটররা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন। আর অপেক্ষমান বড় বড় জাহাজগুলোকেও অতিরিক্ত খরচের মুখে পড়তে হয়। তাই আমরা কয়েক বছর ধরে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি একটি জেটি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেয়ার জন্য। কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে আশ^াসও দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে দ্রুত তা বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সেটা হলে বহির্নোঙরে পণ্য খালাসে গতিশীলতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে বিপুলভাবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট