চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

পটিয়ায় পুকুর ভরাটের অভিযোগ

হারুনুর রশিদ ছিদ্দিকী, পটিয়া

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ

উপজেলার পৌর এলাকার ব্রাহ্মণপাড়ায় দীর্ঘদিনের পুরনো ব্যবহৃত পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

পৌরসদরের ৪ নং ওয়ার্ডে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ৪ শতাধিক মানুষের ব্যবহৃত পুকুরটি ভরাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পুকুরটির ব্যবহারকারী অধিকাংশ মানুষ সনাতনী সম্প্রদায়ের হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখও খুলতে পারছে না। এ ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট বিশাল এ পুকুরের এক তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে ভরাট করে ফেলেছে।

এ ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) পুকুরের অংশীদার মিল্টন সরকার বাদি হয়ে পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর ভূমি অফিস থেকে একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে পুকুর ভরাটে নিয়োজিত শ্রমিক ও ভূমিদস্যুরা পালিয়ে যায়। লিখিত অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন, একই এলাকার ব্রাহ্মণ পাড়ার মৃত মনিন্দ্র লাল সরকারের পুত্র পীযুষ কান্তি সরকার পিন্টু, পৌরসদরের ৯ নং ওয়ার্ডের মরহুম আবদুর রহমানের পুত্র রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাবেক কমিশনার মো. নাছির উদ্দিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পৌরসদরের ৪ নং ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণপাড়ার এডভোকেট রঞ্জন দাশের বাড়ি এলাকায় বহু বছরের পুরনো পুকুরটি একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট ভরাট করা শুরু করেছে। এ পুকুরটি ৪ শতাধিক এলাকাবাসী ব্যবহার করে আসছিল। পুকুরটি ভরাট করে প্লট বরাদ্দের কূটকৌশলে মেতে উঠেছে এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত তিন ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্র পুকুর ভরাটে মেতে উঠেছে। সিন্ডিকেটটি সরকারি বন্ধের দিনকে কাজে লাগিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শনিবার পর্যন্ত রাতদিন পিকআপ ভ্যানে করে মাটি ফেলে অবৈধভাবে পুকুর ভরাট করে যাচ্ছে।
অভিযোগকারী মিল্টন সরকার জানান, পুকুর ভরাটে বাধা দিলে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটটি নানানভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। পুকুরটি এলাকার ৪ শতাধিক মানুষের ব্যবহারের পুকুর। জনস্বার্থে দ্রুত পুকুর ভরাট বন্ধ করার জন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযুক্ত পীযুষ কান্তি সরকার (পিন্টু) জানান, ‘পুকুরের যে অংশটি ভরাট করা হচ্ছে উক্ত জায়গাটি আমি মৌরশি ও খরিদা হিসেবে মালিক। আমি উক্ত জায়গাটি বিক্রি করে দেব। তার জন্য ভরাট করতেছি। এটাতো পুকুর ভরাট করা হচ্ছে না। যে অংশটি ভরাট করা হচ্ছে, তা পুকুরের পাড়।’

এ বিষয়ে পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাব্বির রাহমান সানি বলেন, পুকুর ভরাটের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর ভূমি অফিস থেকে সার্ভেয়ার পাঠানো হয়েছে। সার্ভেয়ারের রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট