চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চমেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন

বায়োমেট্রিক হাজিরা বয়কট চিকিৎসকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ৪:১৯ অপরাহ্ণ

পদোন্নতির জন্য চিকিৎসকদের বায়োমেট্রিক প্রতিবেদন চাওয়ায় প্রতীকী প্রতিবাদ করেছেন চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা। আজ বুধবার (১১সেপ্টেম্বর) বায়োমেট্রিক হাজিরা বয়কট করে এই প্রতীকী প্রতিবাদ করেন তারা। তবে প্রতিদিনের মতোই এই দিনে চিকিৎসকরা তাদের কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বায়োমেট্রিক মেশিনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। যদিও বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)।
এবিষয়ে চমেক অধ্যক্ষ ডা. সেলিম মো. জাহাঙ্গীর বলেন, গতকাল (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে কে বা কারা বায়োমেট্রিক মেশিনের তার বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলো। যার কারণে সকালে কেউই হাজিরা দিতে পারেন নি। যদিও দুপুরের পর থেকে সচল ছিল।
তিনি আরো বলেন, একটি মেশিনে বিএমএ-এর নামে পর্দা লাগানো দেখে ধারণা করা হচ্ছে কাজটি তারা করেছেন। তবে বর্তমানে মেশিনগুলো সচল আছে বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী পূর্বকোণকে বলেন, আমরা বায়োমেট্রিক হাজিরার পক্ষে। শুধুমাত্র চিকিৎসকদের পদোন্নতির বিষয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরার যে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল তা বাতিলের বিষয়ে আমাদের এই প্রতীকী প্রতিবাদ। সেই প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে চিকিৎসকরা বায়োমেট্রিক হাজিরা দেননি। তবে কেউ বায়োমেট্রিক মেশিনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেননি। এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাড়াও উপজেলার সকল সরকারি হাসপাতালে এই প্রতীকী প্রতিবাদ পালন করেছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সিনিয়র কনসালটেন্ট ও জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে পদোন্নতির জন্য চিকিৎসকদের বায়োমেট্রিক প্রতিবেদন চাওয়া হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে প্রার্থীদের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিগত ছয় মাসের প্রতিবেদন ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে প্রেরণের জন্যও বলা হয়। তবে এই বিষয়টিকে বৈষম্য বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসকরা।

পূর্বকোণ/রাজু

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট