চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বায়োমেট্রিক হাজিরা বয়কট করার ঘোষণা চিকিৎসকদের

চট্টগ্রামে প্রতীকী প্রতিবাদ কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:১২ পূর্বাহ্ণ

বায়োমেট্রিক হাজিরা বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে চিকিৎসকদের পদোন্নতির বিষয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরার প্রতিবেদন চাওয়া হলে এই ঘোষণা দেন। জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে কাল (বুধবার) ডিজিটাল এ হাজিরা বয়কট করার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ। তবে যথাসময়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করা হবে বলেও জানান তাঁরা।

গত ৩ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জারি করা সিনিয়র কনসালটেন্ট ও জুনিয়র কনসালটেন্ট পদে পদোন্নতির লক্ষ্যে এক প্রজ্ঞাপনে চিকিৎসকদের বায়োমেট্রিক প্রতিবেদন চাওয়া হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতি প্রার্থীদের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন নম্বার ও বিগত ৬ মাসের প্রতিবেদন ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে প্রেরণের জন্যও বলা হয়। তবে এই বিষয়টিকে বৈষম্য বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসকরা। এই বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মজিবুল হক খান পূর্বকোণকে বলেন, ‘সাধারণত এসিআর’র মাধ্যমে সবার পদোন্নতি হয়ে থাকে। কিন্তু কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে বায়োমেট্রিক হাজিরার প্রতিবেদনও চাওয়া হয়। নীতিমালায়তো বায়োমেট্রিক হাজিরার বিষয়ে উল্লেখ নেই। তাহলে চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে কেন এই বায়োমেট্রিক হাজিরার প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক একটি চাওয়া। যার জন্য আমাদের একটি সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাল (বুধবার) এই প্রতীকী প্রতিবাদ জানানো হবে’।

জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় এই প্রতীকী প্রতিবাদ পালন করা হবে। প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকরা শতভাগ উপস্থিত থাকবেন, তবে তাঁরা শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সেক্রেটারি ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী পূর্বকোণকে বলেন, ‘আমরা বায়োমেট্রিকের বিপক্ষে নয়। আমরাও চাই বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু থাকুক। তবে পদোন্নতির ক্ষেত্রে এটি কেন আসলো? প্রশ্ন হচ্ছে এই নিয়ম কি শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ক্যাডারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? তাহলে অন্য কোন ক্যাডারের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কেন বায়োমেট্রিক হাজিরার প্রতিবেদন চাওয়া হয় না। এটা সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক একটি সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে পারি না। এই প্রজ্ঞাপন শীঘ্রই বাতিল করতে হবে। এই প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে এই প্রতীকী প্রতিবাদ পালন করা হবে। সবাই আগের মতোই কাজ করে যাবেন। শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক হাজিরা বয়কট করা হবে বলেও জানান তিনি’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট