চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

ফুটপাতে কোন ধরনের খাবার বিক্রয় করা যাবে না : মেয়র

৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:২১ পূর্বাহ্ণ

সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, হোটেল-রেস্তোরাঁ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ খাদ্য তৈরিতে হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। তিনি গতকাল (রোববার) সকালে রীমা কনভেনশন সেন্টারে নগরীর হোটেল মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। সভায় প্রায় ৫ শত হোটেল রেস্তোরাঁর মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, চসিক’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার, নগরীর হোটেল রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা দিদারুল আলম, পুলিশ প্রশাসনের এডিসি কাজীমুল রশিদ, হোটেল রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির চেয়ারম্যান আলহাজ ইলিয়াছ আহমেদ ভূইয়া, কো-চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদুল হান্নান বাবু, ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজির হোসেন, ইপসার কর্মকর্তা ওমর সাহেদ হিরু, চসিক মডার্ন খাদ্য পরীক্ষাগারের মাইক্রো বায়োলজিস্ট আশীষ কুমার দাশ, জাতীয় ভোক্তা

অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান, চসিকের স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াসিনুল হক চৌধুরী। এতে সিটি মেয়র বলেন, নগরীর ফুটপাতে কোন ধরনের খাওয়ার বিক্রয় করা যাবে না। এই খাবারগুলো নিরাপদ নয়। আমরা চাই আমাদের শহরে বিশুদ্ধ খাবার প্রস্তুত এবং বিক্রি হোক। এ লক্ষ্যে যত রকম উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন তার জন্য সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাবে। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। মেয়র জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। নগরবাসী ও মেয়রের প্রত্যাশা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। হোটেল-রেস্তোরাঁয় জরিমানা করা সিটি কর্পোরেশনের মূখ্য উদ্দেশ্য নয়। মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে নগরীতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, সরকার জনস্বার্থে আইন প্রণয়ন করে থাকে। এ আইন পরিবর্তনের কোনো সুযোগ সিটি কর্পোরেশনের নেই। আমরা চাই আপনারা সরকার প্রণিত আইন মেনে চলুন। যে কোন ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে সরকারি নিয়ম-নীতি কিংবা আইন জানতে হবে। আইন না জানার অজুহাত কোনভাবে কাম্য নয়। এ মানসিকতা থেকে সংশ্লিষ্টদের বেরিয়ে আসতে হবে। এ প্রসঙ্গে ভোক্তার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নগরীর হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১৯টি করণীয়াদি আরোপ করেছেন সিটি মেয়র।
এ শর্তগুলো বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে হোটেল রেস্তোরাঁ বরাবরে ফেস্টুন পদান করা হবে। এসব ফেস্টুন ক্যাশে কাউন্টারের পেছনে বা পাশে টাঙ্গিয়ে দিবেন। এতে জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে।
মেয়র বলেন, নগরীর হোটেল মালিক সমিতির ছাড়পত্র ছাড়া চসিকের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হবে না। আমরা চাই সকলের মধ্যে দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হোক।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার বলেন, জনগণের স্বার্থে আইন তৈরি ও প্রয়োগ হয়। আইন জানতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অপরাধ সংঘটিত হলে এবং অপরাধী অপরাধ স্বীকার করলে জরিমানা বা শাস্তি দেওয়া হয়। জরিমানার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে চলে যায়। সচেতন করার জন্যই জরিমানা করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা কেউ কারো প্রতিপক্ষ নই। দই তৈরি করতে হলে বিএসটিআই’র লাইসেন্স নিতে হবে। মোড়কের গায়ে উৎপাদন, মেয়াদ, খুচরা মূল্য থাকা বাঞ্চনীয়। বিদেশি পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের নাম, বাংলাদেশি টাকায় মূল্য ইত্যাদি থাকা বাধ্যবাদকতা রয়েছে।
হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদুল হান্নান বাবু সিটি কর্পোরেশনের প্রদত্ত ফেস্টুনের সিদ্ধান্ত কার্যকরে একবছর সময় চেয়েছেন। এ সময়ের পর হোটেল রেস্তোরাঁয় চসিকের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অনুরোধ জানান।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট