চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বাঁশখালীর সরলে ২৫ বছর পর বিরোধীয় লবণ মাঠের জমি উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা , বাঁশখালী

৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নে লবণ মাঠের দখল নিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর দাঙ্গাহাঙ্গামা, খুনসহ একাধিক ঘটনার পর আদালতের নির্দেশে প্রায় ২৪ একর লবণ মাঠের জমি উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯৮৮ সাল থেকে বিরোধীয় লবণ মাঠের জমি নিয়ে সরল এলাকায় ৪ জন খুন ও ২ শতাধিক মানুষ আঘাতপ্রাপ্ত হন। জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে ডজন খানেক মামলাও থানায় রুজু হয়। অবশেষে ক্ষতিগ্রস্তরা গতকাল রবিবার থেকে জায়গাটি দখলে নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরল ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের নোয়া মিয়া ঘোনা হিসেবে পরিচিত। এই লবণ মাঠের ঘোনা নিয়ে হালিমুন্নেছা চৌধুরী গং ও আবুল কাশেম চৌধুরী গংদের মধ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। লবণ মাঠ ও চিংড়ি ঘের শুরুতেই দুই পক্ষ জমির মালিকানা দাবি করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হালিমুন্নেছা চৌধুরী বাদি হয়ে ১৯৯৩ সালে আবুল কাশেম চৌধুরী গংদের বিরুদ্ধে ৯৩ সালে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় আদালত থেকে আবুল কাশেম গং রায় পেলেও দীর্ঘ ২৫ ধরে জায়গা দখলে নিতে পারেনি। জোরপূর্বক দখলকারীদেরকে আদালতের রায়ের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে গতকাল রবিবার দিনমজুর শ্রমিক দিয়ে জমির চাষাবাদ শুরু করেছেন।

সরল ইউনিয়নের সিকদার বাড়ির বাসিন্দা আবুল কাশেম চৌধুরী গং এর ওয়ারিশ মো. সালাউদ্দীন কাদের মানিক জানান, সরল মৌজার এই জায়গা নিয়ে ভূমিদস্যুরা জোরপূর্বক দখলে নিয়ে খুন মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে। ১৯৮৮ সাল থেকে জমির মালিক পক্ষকে উচ্ছেদ করে প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক ভোগ দখল করেছিল। ক্ষতিগ্রস্তরা আবার মামলার আসামি হয়ে জেলও খেটেছে।
এদিকে হালিমুন্নেছা চৌধুরী গং এর পক্ষে সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সরল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী জানান, বিরোধীয় এই জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে খুন খারাপির ঘটনা ঘটেছে। আবুল কাশেম গং ও আমিনুর রশীদ চৌধুরী গংদের মধ্যে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। আদালত থেকে রায় পাওয়ার পরও আবুল কাশেম গংরা বিরোধীয় এই জায়গা দীর্ঘ ২৫ বছর পর দখলে নিয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট