সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম জেলা ও নগর শাখার যৌথ উদ্যোগে মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলার অন্যতম সাক্ষী, বাকলিয়া থানা সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান ফারুকের মৃত্যুতে শোকসভা গতকাল শনিবার বিকেলে দোস্তবিল্ডিংস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টুর সভাপতিত্বে ও সা. সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার। বক্তব্য রাখেন নগর সা. সম্পাদক এডভোকেট বি. কে. বিশ্বাস বিপ্লব, সৈয়দা রিফাত আক্তার নিশু, মুক্তিযোদ্ধা গৌরি শংকর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, সংগঠনের নেতা মো. সেলিম চৌধুরী, শাহেদ মুরাদ শাকু, এডভোকেট সাইফুন্নাহার খুশি, মো. জসিম উদ্দিন, এডভোকেট ইফতেখার রাসেল, মনোয়ার জাহান মনি, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়–য়া, নুরুল হুদা চৌধুরী, সুপ্রিয় দাশ অপু, বজল আহাম্মদ, মঈনুল আলম খান, জাহাঙ্গীর আলম সুমন, মো. কামাল উদ্দিন, দীপন দাশ, নুরুল হোসেন মাসুদ, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, রাজীব চন্দ, শফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব, ভাস্কর দেব, আব্দুর রহিম, ইয়াসমিন আক্তার জুগ্নু প্রমুখ। শোক সভায় বক্তারা বলেন, লুৎফর রহমান ফারুক ছিলেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শাণিত অকুতোভয় যোদ্ধা। অসাম্প্রদায়িকতার মননে মননশীল, বাঙালি সত্তার প্রতি নিবিষ্ট চিত্ত দেশপ্রেমিক হিসেবে তিনি ছিলেন মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সোচ্চার। উদারপ্রাণ চরিত্রের অধিকারী সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য আলোকিত পুরুষ ছিলেন তিনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে আমৃত্যু উচ্চকন্ঠ ও রাজপথে সরব ছিলেন লুৎফর রহমান ফারুক। তার মৃত্যুতে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম তথা চট্টগ্রামের প্রগতিশীল রাজনীতিতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তার আদর্শিক পথেই নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যেতে হবে। সভার শুরুতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।