চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পাঠদান ব্যাহত, শাস্তির সুপারিশ ইউএনও’র

রাউজানে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক দম্পতি বিনা অনুমতিতে আমেরিকায়

নিজস্ব সংবাদদাতা , রাউজান

৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:৪০ পূর্বাহ্ণ

উপজেলা সদরে অবস্থিত রাউজান স্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমরানুল হক ও তার স্ত্রী রাউজান পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকা উম্মে হাবিবা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন অনুমতি ছাড়াই আমেরিকায় গেছেন। এব্যাপারে স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীর সোহাগ। এদিকে স্বামী-স্ত্রী শিক্ষকদ্বয়ের স্কুলে অনুপস্থিতির কারণে দুটি স্কুলে পাঠদান কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।

খবর নিয়ে জানা যায়, গত ২ জুলাই থেকে স্বামী ও স্ত্রী দুই শিক্ষক স্ব স্ব স্কুলে অনুপস্থিত আছেন। তাদের অনুপস্থিতির কারণে স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নাছিমা সুলতানাকে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবীর সোহাগ ইতিমধ্যে রাউজান স্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনে গিয়ে তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইমরানুল হককে খুঁজতে থাকেন। তাকে প্রধান শিক্ষক ইমরানুল হক অসুস্থ হয়ে বিশ্রামে রয়েছে বলে জানায় স্কুলের অনান্য শিক্ষক-শিক্ষিকেরা। পরে তিনি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ইদ্রিসের কাছে নিশ্চিত হয় রাউজান স্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমরানুল হক ও তার স্ত্রী রাউজান পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকা উম্মে হাবিবা অসুস্থ নয়, তারা দু’জনে বর্তমানে দেশে নেই। তারা দুজনই আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন। এলাকার লোকজন ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে জানা গেছে, এর আগেও একবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ৪০ দিনের জন্য ছুটি নিয়ে ওই দুইজন আমেরিকায় ৪মাস ২০দিন ছিল। এরপর দেশে ফিরে এসে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করে। গত ২ জুলাই পুনরায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে অসুস্থতার মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুই শিক্ষক আমেরিকায় পাড়ি জমায়। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, ‘বিনা অনুমতিতে দুই শিক্ষক আমেরিকায় চলে যাওয়ায় তাদের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য লেখা হবে।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইদ্রিছ বলেন, ‘ওই দুই শিক্ষক বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে কোন অনুমতি নেয়নি। তাদের পাসপোর্টে হয়তো সরকারি চাকুরিজীবি লেখা ছিল না, থাকলে হয়তো তারা যেতে পারতো না।’ নিজেদের কর্মস্থলে পুণরায় যোগদানের কৌশল হিসেবে ওই স্বামী-স্ত্রী শিক্ষক একজন চিকিৎসকের কাছে অসুস্থতাজনিত সনদ নিয়েছেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট