চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা

চিকিৎসা ও লেখনির মাধ্যমে আলো ছড়াচ্ছেন ডা. প্রণব

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:২১ পূর্বাহ্ণ

আমাদের সমাজ থেকে মূল্যবোধ উঠেই গেছে। নেই কারো প্রতি কারো সম্মান। যেকোন সম্পর্কের মুল মন্ত্র হচ্ছে একে অপরের প্রতি সম্মান রাখা। যা বর্তমান সমাজে নেই। থাকলে কখনোই এভাবে প্রতিদিন দেশে শিশু ধর্ষণ হতো না। হতো না নারী নির্যাতন। কন্যা শিশুরা শুধু বাহিরেই নয় বরং নির্যাতিত হচ্ছে নিজের ঘরেও। কোন দেশ প্রকৃত অর্থে সভ্য কিনা তা জানার জন্য সেই দেশের নারী ও শিশুর অবস্থা জানলেই বুঝতে পারবে তারা কতটা সভ্য জাতি। সেখানে বাংলাদেশের এমন অবস্থ খুবই দুঃখজনক। যার কারণে শিশুদের মধ্যে এমন বিকৃত মন মানসিকতা জন্ম হচ্ছে। তারা অল্প বয়স থেকেই জড়িয়ে পড়ছে নানা অপকর্মে। আবার এর জন্য আধুনিক বাবা-মাও অনেক বেশি দায়ী। তাদের কাছে নিজের সন্তানের জন্য নেই কোন সময়। একটি সুন্দর সমাজ আবার ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের আগে শিশুদের দিকে নজর দিকে হবে। ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান এ কথা বলেন। গতকাল বিকেল পাঁচটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ’ শিরোনামে ডা. প্রণব কুমার চৌধুরীর সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম একাডেমি। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন’এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন কবি প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক আবুল মোমেন,

সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত ও আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম। অতিথিরা বলেন, যেখানে দেশের শিশুরা নানাভাবে নিপীড়নে শিকার হচ্ছে সেখানে ডা. প্রণব কুমার আশার আলো ছড়াচ্ছেন তার নানা কর্মের মাধ্যমে। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেলের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান চিকিৎসকের পাশাপাশি বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা শিশু বিষয়ক লেখক, কবি ও গীতিকার। তাঁর লেখা ৫০টি বইয়ের মধ্যে ৩০টি বই লিখেছেন শিশুদের নিয়ে। যা থেকে একজন সুস্থ শিশু তৈরি করতে কি প্রয়োজন ও তার সাথে কিভাবে ব্যবহার ও তার জীবনমান পরিচালনার সঠিক তথ্য জানা যাবে। এতে একটি সুস্থ মানসিক বিবেক সম্পুর্ণ শিশু পাবে দেশ।

 

আবুল মোমেন বলেন, নিজের সন্তান নিয়ে অন্যের উপর নির্ভর হলে হবে না। শিশুর দায়িত্ব বাবা-মা নিজেদেরই পালন করা উচিৎ। এতে একটি শিশু ভালোবাসা পেয়ে সুন্দর মন মানসিকতার মাধ্যমেই বড় হবে। আমি মনে করি শিশুদের জন্য একটি হাসপাতাল নয় বরং একটি খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা দরকার। আগে আমরা মা দাদুদের থেকে কত রূপকথার গল্প শুনতাম। কিন্তু বর্তমানের মা বাবারাতো গল্প কি তাই জানেনা। আবার এখন যৌথপরিবার ভেঙে তৈরি হয়েছে একক পরিবার। যেখানে নেই দাদা, দাদীসহ অন্য সকল সদস্য। যার কারণে শিশু অনেক বেশি একাকিতে ভোগে। তাদের সন্তানরা যখন বলে মা একটি গল্প বল, আর মা বলে আমি তো গল্প পারিনা। এসবের প্রভাবই কিন্তু আমাদের শিশুদের উপর পড়ছে। তাই তাদের আজ সঠিক বিকাশ সম্ভব হচ্ছে না। সন্তানদের জন্যই আমাদের এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আবৃত্তি শিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক আমিনুর রশীদ কাদেরী ও সদস্য সচিব মিলন বনিক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট