চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাহাড় কেটে সরকারি কর্মচারীর অবৈধ ভবন নির্মাণ কক্সবাজারে

নিজস্ব সংবাদদাতা , কক্সবাজার

৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:১৫ পূর্বাহ্ণ

ষ কয়েকটি বসতবাড়ি
ধসে পড়ার আশংকা
ষ কউক’র নীরবতায়
জনমনে ক্ষোভ

কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনা খাজামঞ্জিল আল-আমিন একাডেমির পিছনে এক সরকারি কর্মচারীর নেতৃত্বে সরকারি পাহাড় কেটে অনুমতিবিহীন বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ স্থানীয় সচেতন মহলের। অথচ পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন সর্বদা সোচ্চার। সরকারি কর্মচারী হয়ে সরকারি পাহাড় কেটে এভাবে অনুুমতিবিহীন বহুতল ভবন নির্মাণ করলেও বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। বর্তমানে ওইস্থানে একদিকে পাহাড় কাটছে, অন্যদিকে অনুমতিবিহীন ভবন নির্মাণ কাজ চলছেই। পাহাড় কাটার কারণে আশপাশের বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, সাধারণ মানুষ পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ করলে প্রশাসন সেখানে অভিযান চালায়। কিন্তু সরকারি কর্মচারী হওয়ায় পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ করলেও প্রশাসন কোন

পদক্ষেপ না নেয়ায় বিষয়টি রহস্যজনক। অন্যদিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। সরেজমিনে জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বৈদ্যঘোনা খাজামঞ্জিল এলাকার আল-আমিন একাডেমির পিছনে পাহাড় কেটে পাহাড়ের ঢালুতে উঠছে অনুমতিবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন। পাহাড় কেটে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করছেন কক্সবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কম্পিউটার অপারেটর অর্থাৎ তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী মোহাম্মদ নেছার। তার স্থায়ী বাড়ি মহেশখালী উপজেলায়। বর্তমানে এই ভবনের প্রথম তলার ছাদ ঢালাই শেষে দ্বিতীয় তলার কাজ চললেও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কারও নজরে আসেনি। কিভাবে অনুমতি বিহীন সরকারি পাহাড় কেটে অবৈধ ভবন নির্মাণ করতে পারে এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে এভাবেই সরকারি পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। এবিষয়ে ভবনের মালিক (সরকারি কর্মচারী) মোহাম্মদ নেছারকে পাহাড় কাটা ও অনুমতিবিহীন বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নিয়ে নিউজ না করার অনুরোধ করেন। কিন্তু পাহাড় কেটে অনুমতিবিহীন ভবন নির্মাণের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর দিতে পারেননি।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুল আমিন জানান, পাহাড় কাটা বা পাহাড়ের ঢালুতে অবৈধ ঘর নির্মাণ করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দ্রুত বৈদ্যঘোনা এলাকার পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস সূত্রে জানা যায়, যারা অনুমতিবিহীন সরকারি পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। এমনকি অনেক ভবনের মালিককে নোটিশও দেয়া হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে বৈদ্যঘোনা এলাকায়ও অভিযান চালানো হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট